জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক শুরু

খবর৭১ ডেস্ক, অক্টোবর ১৫, ২০২৫ 0

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ডাকা জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন।  

 

 

জুলাই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য এ জরুরি বৈঠক ডাকা হয়।

 

 

এর আগে আজ বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

 

বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

 

 

এছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

 

আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

ছবি: সংগৃহীত
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সংশয়, তফসিল চূড়ান্তে আজ ইসির বৈঠক

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আজ কমিশনের বৈঠকে তফসিল নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা হবে, এবং সম্ভাবনা রয়েছে আজই তফসিল চূড়ান্ত হওয়ার। নির্বাচনের তারিখ ও সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে।   তারপরও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় কাটছে না। গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলোর মতে, বাইরে দৃশ্যত নির্বাচন আয়োজনে ইতিবাচক পরিবেশ দেখা গেলেও অভ্যন্তরীণভাবে কিছু মহল নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় সক্রিয়। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির একসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কার সংক্রান্ত গণভোট এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় বারবার ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের কথা বললেও সরকারের ভেতরে থাকা কিছু নীতিনির্ধারক নির্বাচন দীর্ঘায়িত করতে আগ্রহী। তারা রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যু সামনে রেখে সময় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, যদিও প্রকাশ্যে নির্বাচনের পক্ষেই অবস্থান জানাচ্ছেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করেছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’, যেখানে গণভোট অন্যতম প্রধান বিষয়। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গণভোটের কাঠামো সাধারণ জনগণের জন্য জটিল হতে পারে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে গণভোটসংক্রান্ত চারটি প্রশ্ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো বাস্তবে কঠিন। সরকার বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত গণভোট নিয়ে তেমন কার্যক্রম দেখা যায়নি। কিছু রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে গণভোটে নেতিবাচক রায় বা অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতা বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় আলোচনার বিষয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হতে পারে। এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে নতুন একটি দল নির্বাচন পেছানোর দাবি তুলেছে, এমনকি আদালতেও নির্বাচন পেছানোর আবেদন করা হয়েছে। একই সময়ে বিএনপি ৩৬টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা করেছে, যা তাদের সমমনা দলগুলোকে হতাশ করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনে কয়েক দিন দেশের রাজনীতি ও নির্বাচনের গতিপথে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের প্রতিটি নির্বাচনের আগে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হওয়া পরিচিত দৃশ্য। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠী এতে ভূমিকা রাখে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের ভেতরে থাকা বহুপাসপোর্টধারী কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নির্বাচন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে সক্রিয় হতে পারেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই নিয়ে অভিযোগ করলেও প্রকাশ্যে কারও নাম উল্লেখ করেনি।   জাতির উদ্দেশে দেওয়া শেষ ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি চলছে এবং সরকারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চভাবে পালিত হবে। তবে তিনি প্রতিশ্র“তি রক্ষা করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

তফসিল ঘোষণা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : ইসি সচিব

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানের ১১৪ শহীদের পরিচয় শনাক্তে আজ মরদেহ উত্তোলন

ছবি: সংগৃহীত

মঙ্গলবার ঢাকায় অবতরণের শিডিউল চেয়েছে জার্মান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু জাফরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।   শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে হাসপাতাল প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বিকেল চারটায় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস এ নোটিশ প্রদান করেন। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ সরকারি চাকরির বিধিমালার পরিপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে মহাপরিচালক কক্ষে টেবিল থাকার কারণ জানতে চাইলে জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ধনদেব চন্দ্র বর্মণ ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।   ঘটনা সম্পর্কে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ জানান, তিনি মহাপরিচালকের কাছ থেকে স্নেহপূর্ণ আচরণ প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু সমস্যা ও প্রয়োজনীয় বিষয় জানতে না চেয়ে কেন কক্ষে টেবিল রাখা হয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তিনি আরও বলেন, বন্ধুরা সবাই অধ্যাপক হয়ে গেছে, আমার চাকরিজীবন প্রায় শেষ হলেও নানা কারণে আমি হয়নি। যদি এ ঘটনায় সাসপেনশন হয়, তাতেও আমি খুশি হব।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা শারীরিক অবস্থার ওপরই নির্ভর করছে

ছবি : সংগৃহীত

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা

ছবি : সংগৃহীত
সামনের নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বড় একটি পরীক্ষা। তিনি বলেন, দেশের সবকিছুর ভিত্তি আইনশৃঙ্খলা। শুরুতে কিছু সমস্যা থাকলেও এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো, পুলিশ নিজেকে গুছিয়ে সংহত হতে পেরেছে। তবে সামনে আরও সজাগ থাকতে হবে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন— সামনের নির্বাচন হবে একটি আদর্শ নির্বাচন। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারেন, তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। “আমরা চাই, ভালো একটি নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নিতে,” যোগ করেন তিনি। প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশে অদক্ষদের তুলনায় দক্ষ শ্রমিক তিন গুণ পর্যন্ত বেশি আয় করেন। রেমিট্যান্স বাড়াতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সভা শুরুর আগে ‘উত্তরাঞ্চলের অগ্রযাত্রার কেন্দ্রবিন্দু রংপুর’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের, রংপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুরে পৌঁছান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সফরে তিনি রংপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রংপুর ক্যাডেট কলেজ পরিদর্শন করেন। আগামীকাল রোববার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সৈয়দপুর বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় ফিরবেন।

খবর৭১ ডেস্ক, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫ 0
ছবি: সংগৃহীত

সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে

চিনি আমদানি বন্ধ, আগে দেশি কলের চিনি বিক্রি হবে: শিল্প উপদেষ্টা

বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ-মাদ্রাসায় অনার্স শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে অন্তর্বর্তী সরকার

0 Comments