সর্বশেষ

৭২ ঘণ্টা অতি ঝুঁকিপূর্ণ, হাদির ব্রেইন স্টেমে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত : বিশেষ সহকারী

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, শরিফ ওসমান হাদির মাথায় বাম কানের ওপর দিয়ে প্রবেশ করে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট তার মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেমে মারাত্মক ক্ষতি করেছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি হিসেবে গণ্য হয়। আগামী ৭২ ঘণ্টা তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, এবং এই সময়ের মধ্যে কোনো নতুন চিকিৎসাগত ইন্টারভেনশন করা হবে না।

 

শুক্রবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির অবস্থান পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, হাদি বর্তমানে খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন এবং সামনে থাকা ৭২ ঘণ্টা সবচেয়ে সংকটময়।

তিনি জানান, হাদিকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনো নিশ্চিতভাবে কোনো আশার কথা বলতে পারছেন না। গুলিটি যেভাবে মাথায় প্রবেশ ও বাহির হয়েছে, সেই পথে মস্তিষ্কের জীবনরক্ষাকারী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী অংশ ব্রেন স্টেমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডা. সায়েদুর বলেন, এ অবস্থায় কোনো চিকিৎসাগত হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়। রোগীকে লাইফ সাপোর্টেই ধরে রাখার চেষ্টা চলছে।

তবে সামান্য আশার ইঙ্গিতও রয়েছে। তার শরীরে এখনো sign of life আছে এবং অস্ত্রোপচারের সময় নিজে থেকে কিছুটা শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

তিনি আরও জানান, অস্ত্রোপচারের আগে হাদি একবার শকে চলে গিয়েছিলেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে স্থানান্তরের সময় তার নাক ও গলা দিয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়, যদিও তা আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

 

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, এখনই কোনো আশাবাদী গল্প শোনানোর মতো পরিস্থিতি নেই। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Popular post
হাইকোর্টের রুল জারি, কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতি কেন অবৈধ নয়

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতিতে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকটির ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য পদোন্নতির দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দাবি আদায়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও মানববন্ধন করেও সাড়া না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন। সূত্র জানায়, পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ছুটির দিনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেন, যাতে গ্রাহকসেবা ব্যাহত না হয়। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত আলী খান দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তিন মাস পার হলেও প্রতিশ্রুত আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় তারা পুনরায় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে সারা দেশের শাখা থেকে ১২০০–এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। পরদিন (১ ডিসেম্বর) বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী পদোন্নতির বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা কর্মস্থলে ফিরে যান। পরে কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সুপারনিউমারারি পদ্ধতিতে মার্চের মধ্যে পদোন্নতির বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অন্যদিকে অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও সোনালী ব্যাংকে ইতোমধ্যে মোট ৭,৩১৬ কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে পদোন্নতি পেয়েছেন, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ও অনুমোদন করেছে। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এই উদাসীনতা তাদের প্রতি কর্মীবান্ধবহীন মনোভাব ও কর্তৃপক্ষের অনীহারই প্রকাশ। তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পর অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন এলেও কৃষি ব্যাংকে আগের প্রশাসনিক কাঠামো অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, যা ন্যায্য দাবি আদায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন একাধিক বৈঠকে আশ্বাস দিলেও বাস্তব পদক্ষেপ না নিয়ে বরং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি ও নিপীড়ন করা হয়েছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে এ বছরের চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন (রিট মামলা নং: ১৬৪২৮/২০২৫, মো. পনির হোসেন গং বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য)। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পদোন্নতিতে দেখা দেওয়া অনিয়ম ও অসঙ্গতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, রুল নিষ্পত্তির আগে কোনো পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হলে তা অবৈধ ও আদালত–অবমাননার শামিল হবে। রিটে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক পদোন্নতিতে ১০৭৩ জন কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে মূখ্য কর্মকর্তা) এবং ৫১ জন মূখ্য কর্মকর্তা (ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা পদে) অনিয়মের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়েছেন। এদিকে জানা গেছে, পূর্বে দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাহিদ হোসেন এখনো পদোন্নতি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পদোন্নতি–বঞ্চিত কর্মকর্তারা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যদি পুনরায় অনিয়মের পথে যাওয়া হয়, তাহলে তা আদালতের অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হবে। তারা আশা করছেন, এ বিষয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার ও সমাধান মিলবে। 

কৃষি ব্যাংকে পদোন্নতি বিতর্ক : উদ্বেগে দুই শতাধিক কর্মকর্তা

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী অফিসার্স ফোরাম’ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. পনির হোসেন ও সদস্য সচিব এরশাদ হোসেনকে শৃঙ্খলাজনিত মোকদ্দমা এবং মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া মুখপাত্র তানভীর আহমদকে দুর্গম অঞ্চলে বদলি করা হয় এবং সারাদেশের দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, মো. আরিফ হোসেনকে বরখাস্ত করার নথিতে তাকে ‘ব্যাংক ও রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে, অথচ ব্যাখ্যা তলবপত্রে বলা হয় তিনি ‘রাজনৈতিক কাজে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।’ ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, তার ব্যাখ্যাতলবের জবাব প্রদানের পরও বরখাস্ত চিঠি আগেই তৈরি করা হয়েছিল, যা অনেক কর্মকর্তার মধ্যে প্রশ্ন তোলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তারা যদি সংবিধান বা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব না পালন করেন, হাইকোর্ট তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ বা অপব্যবহার রোধের জন্য আদেশ দিতে পারে। অন্য একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, এ সিদ্ধান্তের পেছনে ব্যাংকের ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পদোন্নতি ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন এবং আইনি লড়াই চলবে। ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চাইবেন। এ ব্যাপারে মো. আরিফ হোসেন ও পনির হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।   

কৃষি ব্যাংকের ‘ভুয়া সিবিএ সভা’ ঘিরে চাঞ্চল্য

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে একটি ভুয়া কর্মচারী ইউনিয়নের সভায় জোরপূর্বক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ব্যাংকের ভিজিল্যান্স স্কোয়াডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ হোসেন। গত ২০ অক্টোবর প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) নামে তারা এটির আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও উদ্বোধক হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তারা প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে ভুয়া নেতাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত হয়ে অনুষ্ঠানটি বয়কট করেন। অভিযোগ রয়েছে, তাসলিমা আক্তার লিনা হেড অফিসের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তা এবং তার স্বামী মিরাজ হোসেন পুরুষ কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই সভায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে বদলি বা পদোন্নতি রোধের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। হেড অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, লিনা তার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে নারী সহকর্মীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। কেউ আপত্তি জানালে মিরাজের সহযোগীরা এসে অশালীন আচরণ ও গালিগালাজ করে থাকে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া, লিনা ‘উইমেনস ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডে অনেক নারী কর্মকর্তা বিব্রতবোধ করলেও চাকরির স্বার্থে নীরব থাকছেন। অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তাসলিমা আক্তার লিনা ও তার স্বামী মিরাজ ব্যাংকের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ঘটনায় নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে তাসলিমা আক্তার লিনা ও মিরাজ হোসেনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাসলিমা আক্তার লিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছি, অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, মিরাজ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংঘটিত এজাহারভুক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও মিরাজ হোসেন পলাতক রয়েছেন। ব্যাংক প্রশাসন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খুনের শিকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আব্দুল হালিম ছিলেন কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১ নম্বর আসামি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পিয়ন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ এবং ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তারা বর্তমানে নিজেদের সিবিএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। ব্যাংক সূত্রে গেছে, তারা চাঁদাবাজি, ঘুষ আদায় ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। সূত্র জানায়, ব্যাংকের ভেতরে একটি সিন্ডিকেটের প্রভাবেই এসব আসামিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে আছেন মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেন। এতে আরও যুক্ত রয়েছেন ডিজিএম সৈয়দ লিয়াকত হোসেন, হাবিব উন নবী, ডিএমডি খালেকুজ্জামান জুয়েল ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্চিয়া বিনতে আলী। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাতে মতিঝিলের বিমান অফিসের সামনে আব্দুল হালিমের মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সজীব কুমার সিং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে জানান, পুরনো সহকর্মীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান। হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, তার বাবা ২০১৪ সাল থেকে কৃষি ব্যাংক সিবিএর সভাপতি ছিলেন এবং বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও পদ নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত নভেম্বরেই মতিঝিল থানায় একটি জিডি (নং ০৫/১১/২০২৪ - ৩৩৫) করেছিলেন তার বাবা। তিনি আরও বলেন, বুধবার রাতে আমার বাবাকে তার অফিসের সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছে। সিবিএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জানান, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচিত হই। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট বিনা নির্বাচনে নতুন কমিটি ঘোষণা করে আমাদের অফিস দখল করে নেয় ফয়েজ ও মিরাজ। এ নিয়ে মামলা চলছে। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামিরা অস্থায়ী জামিনে ছিলেন। সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন—যাদের মধ্যে আছেন ড্রাইভার সাইফুল, শাহেদ, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মেহেদী ও অবসরপ্রাপ্ত ক্লিনার সিরাজ। এদিকে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিরাজ হোসেন নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মানবসম্পদ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।  কিন্তু স্থানীয় মুখ্য কার্যালয়ের প্রধান মহাব্যবস্থাপক জানান, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। কারণ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মন্তব্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিতে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কৃষি ব্যাংকে ভুয়া সিবিএ নেতাদের কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি

অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজিতে নেমেছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একদল ভুয়া সিবিএ নেতা। অভিযোগ উঠেছে, তারা বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনের নামে সারা দেশের শাখাগুলো থেকে কোটি টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করছে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ), রেজি. নং বি-৯৮৫-এর নাম ব্যবহার করে আগামী ২০ অক্টোবর ‘বিশেষ সাধারণ সভা’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয় একদল ভুয়া নেতা। এ উপলক্ষে তারা ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ২৫০টি ইউনিট থেকে ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উঠে। গোপন সূত্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রিত লোকজন শাখা পর্যায়ে বদলি ও পদোন্নতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপ-মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা এসব কর্মকাণ্ডে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এ ঘটনায় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ডিজিএম জাহিদ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদ ও আস্কারায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রে দেখা গেছে, ভুয়া সভাপতি দাবিকারী কৃষি ব্যাংকের সাবেক পিয়ন ফয়েজ আহমেদ ও ভুয়া সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উদ্বোধক হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং প্রধান বক্তা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কয়েকজন মহাব্যবস্থাপক জানান, তারা বিভিন্ন শাখা থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবগত আছেন বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটি কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত হওয়ায় তারা কার্যত কিছু করতে পারছেন না। অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও একই সিন্ডিকেট শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল। সেই টাকা তারা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাঁদাবাজ ও তাদের মদদদাতাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব ভুয়া সিবিএ নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা দাবি করেছেন। তাদের আশঙ্কা, এসব কর্মকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।  

সর্বশেষ

আরও দেখুন
প্রবাসীদের ভোট: ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হতে পারে আগামী সপ্তাহে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রথমবারের মতো পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। এ লক্ষ্যে প্রবাসে নিবন্ধিতদের জন্য আগামী সপ্তাহে পোস্টাল ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রবাসী ভোটারদের জন্য দুটি করে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। ভোট দিয়ে কাছের কোনো পোস্টবাক্সে ফেরত খাম দিতে বলেছে ইসি। নিবন্ধনের মতো ফেরত খাম পোস্ট করারও একটা দিন নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলেছেন ইসি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ভোটের আগের দিন সব সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাবে। এর আগেই নির্ধারিত একটা সময়ে দেশে পৌঁছাতেই হবে। কারণ, ভোটের পরে এলে তা আর গণনার সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি–এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যালট ফেরত পাঠানোর সময় ধার্য হতে পারে। হয়ত দুই-একদিন বাড়তে পারে। আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের দিন রেখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ২০ দিন সময় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১৮ ডিসেম্বরের দিকে নিবন্ধিত প্রবাসীদের ব্যালট পেপার ডাকযোগে পাঠাতে হবে, এমন ধারণা দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। তফসিল ঘোষণাকালে পোস্টাল ভোটিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেছেন, “প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোট ব্যবস্থাকে পরিমার্জন করে এই নির্বাচনে একটি কার্যকরী রূপ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা তথা প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আনা হচ্ছে। “একইভাবে প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আসছেন আইনি হেফাজতে থাকা ভোটারগণ। এছাড়াও নিজ নির্বাচনি এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণ পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে এবার ভোট দিবেন।” শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য নিবন্ধন করেছেন ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে। ‘আইটি সাপোর্টেড’ পোস্টাল ভোটিং চালু করায় প্রথমবারের মতো বিদেশে থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রয়োগের এই সুযোগ তৈরি হয়েছে। ১৮ নভেম্বর অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ১৯ নভেম্বর ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররা। এ ছাড়া দেশের ভেতরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং নিজ এলাকার বাইরে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-তিন ধরনের ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। তারা ১৭ ডিসেম্বর থেকে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের নিবন্ধন চলবে। এ সময়ে বাদ পড়া প্রবাসীরাও নিবন্ধন সারতে পারবেন। ব্যালট ধাপে ধাপে নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে যাবে। তবে প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকছে না। অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পরই যার যার আসনের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন নিবন্ধিত ভোটারা। আর দ্রুত সময়ে ভোট দিয়ে ব্যালট ফেরত পাঠাতে হবে। সময়ের মধ্যে ব্যালট না পৌঁছালে গণনায় নেওয়া হবে না। ব্যালটে নৌকা ছাড়া নিবন্ধিত সব দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ১১৮টি প্রতীক থাকবে। এছাড়া ‘না’ ভোটের চিহ্ন থাকবে ব্যালট পেপারে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে আসনভিত্তিক প্রার্থী তালিকা, নাম ও প্রতীক দেখে ‘টিক’ চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন পোস্টাল ব্যালটে। ওসিভি–এসডিআই প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বলেন, ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বরের দিকে প্রবাসে পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রক্রিয়া দেশে ও বিদেশ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব ধাপ পার হতে হচ্ছে, সেগুলো- >> পোস্টাল ভোট বিডির প্রচার ও নিবন্ধন। >> ব্যালট পেপার ও তিন ধরনের খাম মুদ্রণ, নির্বাচন কর্মকর্তার উপস্থিতি। >> পার্সোনালাইজেশন (ডাক বিভাগ), পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু, ব্যালট ট্র্যাকিং, ভোট প্রদান, প্রবাসে কাছাকাছি ডাকবাক্সে খাম রাখা। >> পোস্টাল ব্যালট ফেরত ও ট্র্যাকিং, ডাক বিভাগ গ্রহণ, রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছানো, রিটার্নিং অফিসারের গ্রহণ, পোস্টাল ব্যালট ব্যালট বাক্সে রাখা। >> গণনা এবং শেষ ধাপে ফল ঘোষণা। ওসিভি: প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন যেভাবে অ্যাপ ডাইনলোড> লগইন ও রেজিস্ট্রেশন পেইজ> এনরুলমেন্ট এর জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি> মোবাইল নম্বর, ইমেইল অ্যাড্রেস, ওটিপি, ভেরিফিকেশন, পাসওয়ার্ড> লগইন উইথ ইউজারনেম (মোবাইল নম্বর) ও পাসওয়ার্ড>এনআইডি ভেরিফিকেশন>ফ্যাসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>সেলফি>প্রবাসের ঠিকানা, পাসপোর্টসহ আনুষঙ্গিক তথ্য>তালিকাভুক্ত ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন। আইসিপিভি: সরকারি চাকরিজীবীর তালিকাভুক্তি ওপেন এনরুলমেন্ট প্রসেস>পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ লগইন>ই-কেওয়াইসি ডিসক্লেইমার>ফেসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>এনআইডি ভেরিফিকেশন>আইবাস++ভেরিফিকেশন> ঠিকানা, ওটিপি>তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন>ভোটার তালিকা মুদ্রণ>ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো>ভোটার গ্রহণ করবে। ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের তালিকাভুক্তি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের পোস্টাল ভোট অ্যাপ ব্যবহার> অ্যাপ লগইন>ই-কেওয়াইসি ডিসক্লেইমার>ফ্যাসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>এনআইডি ভেরিফিকেশন>ঠিকানা, ওটিপি>তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন>ভোটার তালিকা মুদ্রণ>ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো>ভোটার গ্রহণ করবে ব্যালট। কারাবন্দিদের তালিকাভুক্তি তফসিল ঘোষণার পর কারা অধিদপ্তর তালিকা>বিভিন্ন কারাগারে পোস্টাল ভোট অ্যাপ লগ ইন>ই-কেওয়াইসি ডিসক্লেইমার>ফেসিয়াল রেকগনিশন, লাইভলিনেস চেক>এনআইডি ভেরিফিকেশন> ঠিকানা, ওটিপি>তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন সম্পন্ন>ভোটার তালিকা মুদ্রণ>ডাকযোগে ব্যালট পেপার পাঠানো>ভোটার গ্রহণ করবে ব্যালট। পোস্টাল ব্যালটে যেভাবে ভোট পোস্টাল ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিতে ভোটদাতার অবগতির জন্য নির্দেশাবলী দেওয়া থাকবে খামে। “ব্যালট পেপারে সব প্রতীক মুদ্রিত হয়েছে। আপনি ভোট দিতে ইচ্ছুক হলে যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে চান, তার নাম ও প্রতীক নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ডিজিটাল প্যাটফর্ম (মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি)-এ দেখা যাবে। যা প্রতীক বরাদ্দের তারিখ হতে দৃশ্যমান হবে। “ব্যালট পেপারের প্রতীকের বিপরীতে চিহ্নের স্থানে কলমের সাহায্যে একটি টিক (✔) চিহ্ন অথবা ক্রস (X) চিহ্ন দিয়ে ভোট দেবেন।” যেসব নির্দেশ মানতে হবে >> খামের ভেতরের ঘোষণাপত্রটি পড়ে স্বাক্ষর করতে হবে। >> নিরক্ষরতা বা অক্ষমতার কারণে ব্যালট পেপার চিহ্নিত ও ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করতে অক্ষম হলে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারী যে কোনো ব্যক্তি ভোটারের পক্ষে ভোট চিহ্নিত করতে ও ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভোটারের সম্মুখে ও তার ইচ্ছা অনুসারে ব্যালট পেপার চিহ্নিত করবেন। ভোটারের পক্ষে তাকে সত্যায়ন করতে হবে। >> ব্যালট পেপারে ভোট চিহ্নিত করার পর ব্যালট পেপারটি এর সঙ্গে পাঠানো পোস্টাল ব্যালট চিহ্নিত ক্ষুদ্রতর খামটিতে রেখে বন্ধ করতে হবে এবং রিটার্নিং অফিসারের ঠিকানা মুদ্রিত থাকা খামটিতে রাখতে হবে। এরপর বৃহত্তর খামটি বন্ধ করার পর ডাকযোগে তা রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে। >> নির্বাচনের শেষ সময়সীমার আগেই রিটানিং অফিসারের কাছে (ফলাফল একত্রীকরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের পূর্বে) খামটি ডাকযোগে যেন পৌঁছে তা নিশ্চিত করতে হবে। >> ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ঘোষণাপত্র সত্যায়িত করাতে ব্যর্থ হলে ব্যালট পেপারটি নাকচ করা হবে। >> নির্বাচনের শেষ সময়সীমার পূর্বে এবং ফলাফল একত্রীকরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের পরে খামটি রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছলে এ ভোট গণনা করা হবে না। পোস্টাল ভোটিংয়ে প্রতি ভোটের জন্য প্রায় ৭০০ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অ্যাপে দেশের ভেতরে-বাইরে ১০ লাখের মতো ভোটার নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এনআইডি নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ও নির্ভুল ঠিকানা দিয়ে অ্যাপে নিবন্ধনের পর ব্যালট পেপার ইস্যু থেকে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছানো পযন্ত ‘ট্র্যাকিং’ করা যাবে। দেশে বর্তমানে পৌনে ১৩ কোটি ভোটার রয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও প্রতীক দেখে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সিল মেরে ভোট দিতে হবে; গণভোটের ব্যালটেও ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ এর ঘরে সিল দিয়ে ভোট দেবেন। তবে পোস্টাল ব্যালটে শুধু প্রতীকের পাশে ‘টিক’ বা ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে হবে। গণভোটের ব্যালটেও ‘হ্যা’ বা ‘না’ চিহ্নে একই পদ্ধতিতে ভোট দেবেন ভোটাররা। দেশের ভেতরে কারাবন্দি ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিবন্ধনের সুযোগ ১৭ থেকে ২৫ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, দেশের অভ্যন্তরে যে তিন শ্রেণি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন, তারা এখন নিবন্ধন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাদের তালিকা রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে তারা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। শেষ যে অংশটা, যারা নির্বাচনের সরাসরি দায়িত্বে থাকবেন তাদেরটা আরেকটু সময় লাগবে…এরমধ্যে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, অ্যাসিস্টেন্ট প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা নিবন্ধন করতে পারবেন।”

জান্নাতুল ফেরদৌস জেমি ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫ 0
ওসমান হাদি ও তাসনিম জারা। ছবি : সংগৃহীত

ওসমান হাদিকে নিয়ে সুখবর দিলেন তাসনিম জারা

ছবি : সংগৃহীত

সংকট মুহূর্তে ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন ডা. জুবাইদা রহমান

ছবি : সংগৃহীত

৭২ ঘণ্টা অতি ঝুঁকিপূর্ণ, হাদির ব্রেইন স্টেমে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত : বিশেষ সহকারী

ছবি : সংগৃহীত
গুলিবিদ্ধ হলে প্রথম ৩০ মিনিটের জরুরি করণীয়

গুলি লাগার ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে জীবন–মৃত্যুর ব্যবধান তৈরি করতে পারে। কোথায় গুলি লেগেছে, কী ধরনের গুলি, কত দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া গেছে এসবের ওপর নির্ভর করে আহত ব্যক্তির জীবন ঝুঁকি বাড়ে বা কমে। তবে সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিচে গুলিবিদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রথম ৩০ মিনিট বা হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত কী করা উচিত, কোন ক্ষেত্রে কী ধরনের চিকিৎসা লাগে সবই ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো।   প্রথমেই যা করবেন যদি আপনি বা আশেপাশের কেউ গুলিবিদ্ধ হন, তবে প্রাথমিকভাবে তিনটি কাজ খুব জরুরি   ১. নিরাপদ স্থানে যান আহত ব্যক্তি হাঁটতে বা দৌড়াতে পারলে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সাহায্য করুন।   ২. অস্ত্র নিরাপদ করুন দুর্ঘটনাবশত গুলিবিদ্ধ হলে নিশ্চিত করুন অস্ত্র আর কারও ক্ষতি করতে না পারে।   ৩. ৯৯৯ এ ফোন করুন নিরাপদে পৌঁছানোর পর সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সেবায় ফোন দিন এবং অপারেটরের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোই জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে বড় উপায়।   রক্তপাত বন্ধ করা গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে বাঁচাতে প্রথম কাজ হলো রক্তপাত থামানো। এজন্য রক্ত বের হচ্ছে এমন স্থানে শক্ত চাপ দিতে হবে। রক্তপাত বেশি হলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরার মতো জোরালো চাপও প্রয়োজন হতে পারে।   ড্রেসিং ব্যবহার করুন ক্ষতস্থানে পরিষ্কার কাপড়, গজ, তোয়ালে বা যেকোনো কাপড় চেপে ধরুন। এতে রক্ত জমাট বাঁধতে সুবিধা হবে।   টুর্নিকেট (সতর্কভাবে) পেশাদার টুর্নিকেট থাকলে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে ভুলভাবে লাগালে বিপদ বাড়তে পারে। টুর্নিকেট না থাকলে চাপ দেওয়ার ওপরই জোর দিন।   মনে রাখবেন আহত ব্যক্তিকে কখনোই পানি, খাবার বা পানীয় দেবেন না। শকে গেলে বমি হতে পারে এবং খাবার-তরল শ্বাসনালিতে ঢুকে যেতে পারে। পা বা মাথা উঁচু করবেন না অনেকেই আহত ব্যক্তির পা উঁচু করে দেন, এটি ভুল। এতে বুক বা পেটের গুরুতর রক্তপাত বেড়ে যেতে পারে এবং শ্বাসকষ্টও তৈরি হতে পারে। ব্যক্তি সচেতন থাকলে তিনি যেভাবে আরাম পান সেভাবে বসতে বা শুতে দিন। অচেতন হলে রিকভারি পজিশন–এ (কাত হয়ে, এক পা ভাঁজ করে) রাখুন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগলে করণীয়   ১. বুকে গুলি হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও প্রধান ধমনী গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে সাকিং চেস্ট উন্ড হয়, এই ক্ষত দিয়ে বাতাস ঢুকে ফুসফুস বসে যেতে পারে। এই অবস্থায় ক্ষতটি প্লাস্টিক জাতীয় কিছু দিয়ে সিল করে দিন যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে। শ্বাসকষ্ট বাড়লে সিলটি খুলে দিন।   ২. পেটে গুলি তীব্র রক্তপাত, অঙ্গ ক্ষতি এবং অন্ত্র বা পাকস্থলীর ফুটো হয়ে সংক্রমণ হতে পারে। তাই ক্ষতস্থানে শক্ত চাপ দিন। যদি পেট দ্রুত ফুলে যায়, তবে ক্ষত ছোট মনে করে ভুলবেন না। সাধারণত এই ক্ষেত্রে জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়।   ৩. হাত–পায়ে গুলি রক্তনালী কেটে যাওয়া, স্নায়ু ক্ষতি এবং হাড় ভেঙে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আহত অঙ্গ নাড়ানো উচিত নয়। শুধু রক্তপাত থামানোর ওপর জোর দিন।   ৪. ঘাড় বা মেরুদণ্ডে গুলি পক্ষাঘাত পর্যন্ত হতে পারে। তাই রোগীকে কখনোই নড়াবেন না। এতে স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঘাড়ের সামনে গুলি লাগলে রক্তপাত বন্ধে চাপ দিন। গুলি লাগলে কেন ক্ষতি ভয়াবহ হয়? বুলেট শুধু একটি ফুটোর মতো ক্ষত তৈরি করে না, শরীরের ভেতরে লাফিয়ে, ঘুরে আরও অনেক স্থানে আঘাত করতে পারে। ক্ষতি নির্ভর করে গুলির অবস্থান, বুলেটের আকার এবং বুলেটের গতির ওপর। চিকিৎসা ও সুস্থ হতে কত সময় লাগে? সহজ গুলিবিদ্ধ ক্ষত (যেখানে অঙ্গ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি) ১০ দিনের মধ্যেও সেরে উঠতে পারে। কিন্তু জটিল আঘাতে সময় অনেক বেশি লাগে। অন্যদিকে মানসিক ধাক্কা ভয়, দুঃস্বপ্ন, খিদে না পাওয়া, অস্থিরতা দীর্ঘদিন থাকতে পারে। এসব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আলোচ্য বিষয়গুলো প্রাথমিক করণীয় হিসেবে বলা হয়েছে। মূল চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

মো: দেলোয়ার হোসাইন ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ছবি : সংগৃহীত

হাদির মাথার ভেতরে গুলি, ওটিতে সার্জারি চলছে

ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক

ওসমান হাদি এখন কোমায় আছেন : চিকিৎসক

ওসমান হাদী। ছবি : সংগৃহীত

ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৩ ঘণ্টা আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন

ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচন বানচালের ক্ষমতা কারও নেই : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার মতো ক্ষমতা পৃথিবীর কোনো শক্তির নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।   শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরিফ জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে। গত ১৫ বছরের শাসনামলে ভালো নির্বাচন না পাওয়ায় জনগণ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে আছে। যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করবে বা আইন হাতে তুলে নেবে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। একই সঙ্গে অনৈতিক দাবি তুলে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগের নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, যারা পতিত স্বৈরশাসকের দল, তারা নিজেদের সিদ্ধান্তেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক দল হলে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করত। কিন্তু তারা তা না করে অস্ত্র নিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা ভেবেছিল, আরও মানুষ খুন করলে আগামী ১৫ বছর সবাই নিশ্চুপ থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নিজেরাই নিজেদের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বাইরে ঠেলে দিয়েছে।   প্রেস সচিব আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে রয়েছে। পাশাপাশি প্রোপাগান্ডা, অপপ্রচার ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

মোঃ ইমরান হোসেন ডিসেম্বর ১২, ২০২৫ 0
ওসমান হাদী। ছবি : সংগৃহীত

ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ, নেওয়া হয়েছে ঢামেকে

ইনসেটে শিশু সাজিদ। ছবি : সংগৃহীত

উদ্ধারের পর শিশু সাজিদকে মৃত ঘোষণা

ছবি : সংগৃহীত

৩২ ঘণ্টা পর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার

0 Comments