খবর৭১ঃ কোপা আমেরিকার কাপ ছুঁতে লিওনেল মেসির লাগবে মাত্র দুটি ম্যাচ। প্রথম বাধা কলম্বিয়া। যারা ছন্দের চাইতে ফুটবলে পেশীশক্তিতেই বেশি অভ্যস্ত। শৈল্পিক ফুটবলে তেমন একটা আগ্রহ নেই তাদের।
সেই দলের বিপক্ষে মাঠে রোমেরোকে ছাড়াই মাঠে নেমেছেন মেসি।
পেছনের তেতো স্বাদকে আজ ভুলতে চান মেসি। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সবশেষ তিন দেখায় জয়ের মুখ দেখেনি আর্জেন্টিনা। উল্টো পেতে হয়েছে এক ম্যাচে হারের স্বাদ, বাকি দুটি ড্র।
সেই লক্ষ্যে ৪-৩-৩ ছকে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে আর্জেন্টিনা। শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।
কলাম্বিয়ার বিপজ্জনক স্থানেই বারবার বল নিয়ে গেছে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডরা। যাদের নেতৃত্বে অধিনায়ক মেসি।
এভাবে কয়েকবার আক্রমণের পর ছয় মিনিটের মাথায়ই প্রথম সফলতার মুখ দেখে আর্জেন্টিনা। দূর থেকে ক্রসে গোলপোস্টের খুব কাছাকাছি বল পান মেসি।
কলম্বিয়ার দুই ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে কাট ব্যাক পাস দেন ডি-বক্সে অরক্ষিত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা লাউতারো মার্তিনেজকে। মুহূর্তেই তা জালে জড়িয়ে দেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড।
ম্যাচ শুরু ৩ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার দুই তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন লিওনেল মেসি। দারুণভাবে বল বাড়িয়ে দেন নিকোলাসা গঞ্জালেসকে। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যে ছিল না।
তবে এর মিনিট তিনেক পর মার্তিনেজকে দিয়ে ঠিকই গোল উদ্ধার করে নেন মেসি। এই এসিস্টের পর নতুন রেকর্ড স্পর্শ করলন মেসি। তার আগে কোপায় কেউ ৪টির বেশি গোলের পাস বাড়াতে পারেননি।
৯ মিনিটের মাথায় আক্রমণে উঠতে সক্ষম হয় কলম্বিয়া। কুয়াদ্রাদোর দুর্দান্ত এক শট বাঁচিয়ে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমি. মার্তিনেজ। ২১ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনার লো সেলসো।