বাংলার সাহিত্যের সংস্কৃতির বিকাশে অমর একুশে বইমেলা

0
442

মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার

-বই পড়ার আনন্দঃ-

বই মানুষের চিরন্তন বিশ্বস্ত সঙ্গী। জন্মগতভাবেই মানুষ অন্যের সাহচর্য প্রত্যাশা করে। তাই প্রাগৈতিহাসিক যুগ
থেকেই মানুষ পারস্পরিক সহযােগিতায় জীবনের অর্থ খুঁজেছে। মানুষের পাশাপাশি একসময় এ সাহচর্যের অংশীদার হয়েছে বই । মানবজীবন প্রবাহের যাবতীয় ভাব-অনুভূতি জানার প্রবল আগ্রহ মানুষকে বইমুখী করেছে। কেননা যুগ যুগ ধরে মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার অনুভূতি বুকে ধারণ করে অনাগত কালের মানুষের জন্যে চির অপেক্ষমাণ হয়ে আছে বই । অতীত-বর্তমান আর ভবিষ্যতের যােগসূত্র রচনা করে বই । তাই বই পড়ে মানবমন লাভ করে অনাবিল প্রশান্তি।

-বইয়ের বিকাশ:-

বই মূলত জ্ঞান জ্ঞানসাধনার ফসল । জ্ঞানসাধক তার অভিজ্ঞতালব্ধ ভাব-অনুভূতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে
জানানাের তাগিদ থেকে বই লেখেন। সভ্যতার বিকাশের একপর্যায়ে মানুষ তার চিন্তাভাবনা, হৃদয়ানুভূতি, অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ভবিষ্যতের মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার জন্যে গ্রন্থ রচনার আশ্রয় নিল । ক্ৰমে ছাপাখানার আবিষ্কার বইয়ের প্রচারকে বিস্তৃত করল । ফলে ঘরে বসেই মানুষ যাবতীয় বিষয়ে জ্ঞান লাভ করা শুরু করল। শুধু অতীতের ঘটনাবলি নয়, বর্তমানের বিশ্বব্যাপী জ্ঞান আহরণের দ্বার উন্মুক্ত হলাে। এ যেন ক্ষুদ্র আসনে বসে বিশ্বমানবের সাহচর্য লাভ করা। জ্ঞানের মহাসমুদ্রের কল্লোল শােনা যায় বইয়ের পাতায়। যে মহাসমুদ্র যুগ থেকে যুগান্তরে জ্ঞান বিতরণের মহান ব্রত নিয়ে সদা প্রবহমান ।

বই পড়ার প্রয়ােজনীয়তা:-

বই বিপুল জ্ঞানের ভাণ্ডার, প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের সাধনার ফল বিধৃত আছে বইয়ে। নানান কালের মানুষ
তাদের বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানােপলদ্ধি অনাগত কালের মানুষের আনন্দ জোগানাের জন্যে লিপিবদ্ধ করে যান বইয়ে। ফলে বর্তমানের মানুষ নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করে। স্বল্পায়ু জীবনে মানুষে পক্ষে বিস্তৃত পৃথিবীর বহুবিধ জ্ঞানলাভ করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে বইই পারে তার জ্ঞানভাণ্ডারকে পরিপূর্ণ করতে। এ উপলব্ধি থেকেই রবীন্দ্রনাথ তাঁর ঐকতান ‘ কবিতায় বলেছেন –

‘বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি !
বিশাল বিশ্বের আয়ােজন ;
মন মাের জুড়ে থাকে অতিক্ষুদ্র তারি এক কোণ
সেই ক্ষোভে পড়ি গ্রন্থ ভ্রমণবৃত্তান্ত আছে যাহে
অক্ষয় উৎসাহে–’!!

বিশ্বের মহামূল্য গ্রন্থগুলাে মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য সাধনার নির্বাক সাক্ষী, এগুলাের মধ্য দিয়েই মানুষ লাভ করেছে তার আপন অন্তরতম সত্তার পরিচয়। বই হলাে মানুষের সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন, তাই যুগে যুগে বই মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করেছে।

বই মানুষের বিশ্বস্ত জীবন সঙ্গী:

মানুষের নিঃসঙ্গতা ঘুচানাের অনুপম সঙ্গী বই। মানবজীবন নানান ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। এ সংঘাতময় জীবনে বই পারে সকল ক্লান্তি মুছে দিয়ে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দিতে। মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে কাজ করে বই। জীবনের নানাবিধ অভিঘাতে মানুষ যখন অস্থির হয়ে ওঠে তখন গ্রন্থ পাঠেই মেলে সান্ত্বনা। বাইরের যান্ত্রিকতায় আমরা যখন মনের গহীনে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ি তখন গ্রন্থ পাঠেই পাওয়া যায় পরম বন্ধুর সাক্ষাৎ | বইয়ের সঙ্গের উপযােগিতা সম্বন্ধে চার্লস ল্যাম্ব বলেছেন, ‘বই পড়তে যে ভালােবাসে তার শত্রু কম। বই মানুষের আত্মাকে সৌন্দর্য। দান করে। আর আত্মার সৌন্দর্য মানুষকে দান করে পরিপূর্ণতা । গ্রন্থ পাঠেই খুঁজে পাওয়া যায় সামনে চলার আলাের পথ, আত্মার পরিশুদ্ধি ! তাই বইয়ের চেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু অকল্পনীয়।

বই পড়া এবং আনন্দলাভ:-

উৎকৃষ্ট বই মানব হৃদয়ের অনাবিল আনন্দের অফুরন্ত উৎস। কর্মব্যস্ত মানুষ হাজার ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় করে নিয়ে বইয়ের মাধ্যমে পেতে চায় অনাবিল আনন্দ। জাগতিক জীবনের নানাবিধ সংঘাত এবং সমস্যার উর্ধ্বে বই মানুষকে আনন্দ দান করে । জীবন সংগ্রামের যান্ত্রিকতা থেকে মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের ভেতর সৃষ্টি করে একান্ত নিজস্ব একটি ভুবন। সে ভুবনে সবচেয়ে বেশি সাহচর্য দান করে গ্রন্থ পাঠ, মানুষকে দেয় নতুন প্রেরণা, উৎসাহ ও মানসিক প্রশান্তি। সত্য, সুন্দর এবং জ্ঞানের আলােয় গ্রন্থ পাঠ মনের বিকাশ ঘটায়। সকল অকল্যাণ, অসত্য, সংকীর্ণতা থেকে মানবমনকে মুক্তি দেয় বই । এজন্যই ভিনসেন্ট স্টারেট বলেছেন, ‘When we buy a book we buy pleasure.’ বইয়ের মাধ্যমেই আমরা বিশ্বের সকল দেশের সকল জাতির এবং সকল প্রকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে পরিচিত হবার আনন্দ লাভ করি। হেনরি ভনডিকের মতে, হৃদয়ের স্পর্শ যেখানে আছে, সেটাই গ্রন্থ। আমরা এক যুগে বসে আরেক যুগের প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের হৃদয়ানুভূতির সাথে মিলিত হবার সৌভাগ্য অর্জন করি গ্রন্থ পাঠে, এভাবেই দুঃখ-বেদনার মুহূর্তে, মানসিক অশান্তিতে, হতাশাগ্রস্ত মনে বই নানাভাবে আমাদের আনন্দের সঞ্চার করে।

অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রত্যাশা প্রাপ্তির শঙ্কা নিয়ে শুরু হয়েছে মাতৃভাষার মেলা ( অমর একুশে গ্রন্থমেলা -২০২৩) করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসায় গত দুই বছর পর এবার যথাসময়ে শুরু হলো একুশে গ্রন্থমেলা । কিন্তু কিন্তু ডলারের দাম বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতায় বই বেচাবিক্রির হিসাব – নিকাশ নিয়ে প্রত্যাশা প্রাপ্তির শঙ্কায় রয়েছেন বাংলাদেশ জ্ঞান সৃজনশীল প্রকাশকরা। তারা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধিতে কাগজ – কালিসহ বই ছাপানোর উপকরণের ব্যয় বৃদ্ধি তাদের সবধরনের হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। যার কারণে এবার নতুন বই যেমন কম আসবে মেলার স্টলের মধ্যে ঠিক তেমনি সেগুলোর দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতা কমতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে । যার ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী বেচাবিক্রি হবে কিনা এমনটাই সংশয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ জ্ঞান সৃজনশীল সকল প্রকাশকরা ।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম দিনে ( পহেলা ফেব্রুয়ারি – বুধবার -) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রাণপ্রিয় অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন । এরপর থেকেই সবার জন্য খুলে দেয়া হয় হয় মেলার প্রাঙ্গণ। এ সময় উপস্থিত পাঠক দর্শনার্থী ও শ্রোতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। অন্যবারের তুলনায় এবার একুশে বইমেলার পরিধি বাড়ানো হয়েছে । সেই হিসেবে এবার ( সাড়ে ১১ লাখ-) বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা সেই সাথে নতুন পরিসর বৃদ্ধি করে দেয়া হয়েছে। এবার একুশে বইমেলায় প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি কতৃক প্রকাশিত ( ০৭- সাতটি -) নতুন বইয়ের মোড়ক – উন্মোচন করেন। এবারের অমর একুশে বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য – হচ্ছে- ” পড়ো বই পড়ো দেশ,- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” । এবার একুশে বইমেলায় ( ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ( ৯০১টি -) স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে । এরমধ্যে বাংলা একাডেমি মাঠ প্রাঙ্গনে ( ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে বাংলা একাডেমি ও একুশে বইমেলা উদযাপন কতৃপক্ষ । তাছাড়া এবছর ( ৩৮টি -) প্রতিষ্ঠানকে প্যাভিলিয়ন হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে । গতবছরের মেলায় ( ৫৩৪টি -) প্রতিষ্ঠানকে মোট -( ৭৭৪টি -) স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল । গতবছরের তুলনায় এবারের মেলায় প্রকাশকদের প্রত্যাশিত মনোভাবের কারণে স্টলের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে বাড়ানো হয়েছে ।

সারা বছরের কাক্ষিত মাস ভাষার মাস। এ মাসকে ঘিরেই তাদের যত কর্মযজ্ঞ। ভালো লেখকদের লেখা পাওয়ার জন্য যেমন তাদের পেছনে ঘুরতে হয়, তেমনি নতুন নতুন লেখক সৃষ্টিরও প্রয়াশ থাকে। কেননা, পৃথিবী পরিবর্তনশীল। প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে পৃথিবী। সেই সাথে পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের রুচি ও আবেগের। পুরনো লেখকদের লেখার পাশাপাশি নতুন লেখকদের লেখার আবেদন থাকে পাঠকদের কাছে। এ কারণেই প্রকাশকরা পুরনো লেখকদের লেখা যেমন সংগ্রহ করে থাকেন, তেমনি নতুন লেখকদের লেখাও তারা সংগ্রহ করতে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। কিন্তু তাদের লক্ষ্য থাকে ফেব্রুয়ারি মাস। এ মাসেই তাদের সারা বছরের কর্মকাণ্ডের গুণগত মান যাচাই হয়। সর্বাধিক পাঠক যে প্রকাশকের বই কেনেন ওই প্রকাশকের মানদণ্ড ততই বাড়ে। এ দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায়, ভালো লেখকদের অধিক বই কাটতির মাধ্যমে তার যেমন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য আনে, তেমনি ভালো প্রকাশের বই অধিক বিক্রির মাধ্যমে ওই প্রকাশকের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী নিয়ে আসে। এ থেকে দেখা যায়, ভালো লেখকের পাশাপাশি ভালো প্রকাশক হওয়ারও প্রতিযোগিতা অর্থনৈতিক তাগিদেই থেকে যায়।
বর্তমানে প্রকাশনা শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। একটি প্রকাশনার সাথে প্রায় ৩০ প্রকারের কর্মক্ষম শ্রমিক জড়িত থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, লেখক, প্রকাশক নিজে, টাইপরাইটার, কপি রিডার, ছাপাখানা চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় টেকনিশিয়ান, ছাপাখানা থেকে ছাপা হওয়ার পর বই বাইন্ডিং করার জন্য বাইন্ডার ইত্যাদি খাত সরাসরি জড়িত থাকে। প্রথমত লেখক লেখেন। কম্পোজিটর হাতের লেখাকে কম্পিউটারে কম্পোজ করেন। প্রচ্ছদ শিল্পী (ক্ষেত্র বিশেষে অলঙ্করণ শিল্পীও যুক্ত হন) বইয়ের চরিত্র অনুযায়ী প্রচ্ছদ আঁকেন। প্রকাশক প্রণ্ডুলিপিভেদে নির্ধারিত মাপে কাঠামো দাঁড় করান। সাধারণত বইয়ের কম্পোজ ও অঙ্গসজ্জা ফর্মাপ্রতি (১৬ পৃষ্ঠা) ৫০০ থেকে এক হাজার টাকায় করেন পেশাদার ব্যবসায়ীরা। কাগজে প্রিন্ট করার পর পাণ্ডুলিপি যায় বানান সংশোধকের কাছে। সচরাচর এরা প্রতি ফর্মা ১০০ থেকে ৫০০ টাকায় দেখে থাকেন। লেখক-প্রকাশকের সম্মিলিত উদ্যোগে পাণ্ডুলিপি ফাইনাল করা হলে প্রেসে যায়। বর্তমানে মুদ্রণশিল্পে এসেছে আধুনিক প্রযুক্তি। ছাপায় ভালো মান যারা চান, ট্রেসিং ও পেস্টিংয়ের ঝক্কি কমাতে সরাসরি সিটিপি (কম্পিউটার টু প্লেট) করেন। পেল্টের পরের স্তর ছাপাখানা। ছাপাখানার সাথে ওৎপ্রোত সম্পর্ক কাগজের। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন রকম কাগজই পাওয়া যায় বাজারে। লেখক ও প্রকাশকরা সামর্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী কাগজ বাছাই করেন।

বইমেলার অর্থনীতি নানাভাবে, বিভিন্ন দিকে বিস্তৃৃত। পরিবহন শ্রমিক, মুটেরা দেখে বাড়তি টাকার মুখ। অন্য দিকে এ সময়ে বিজ্ঞাপনের ব্যবসাও থাকে রমরমা। দৈনিক পত্রিকা থেকে শুরু করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বইমেলাকেন্দ্রিক বুলেটিনে ছাপা হয় কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন। এ বিজ্ঞাপন লেখক-প্রকাশক উভয়পক্ষই দিয়ে থাকেন। সংশ্লিষ্টরা চান, বইয়ের খবর সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্রকাশ দীর্ঘ দিনের রেওয়াজ। বইমেলায় প্রকাশিত বইগুলোই পরবর্তীকালে চলে যায় পুরনো বইয়ের দোকানে। ঢাকার পল্টন, মিরপুর, নীলক্ষেত এলাকায় পুরনো বইয়ের ব্যবসা সরগরম থাকে সারা বছরই।
মেলার অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলছে। বাড়ছে বই ও বিক্রির পরিমাণও।

এ ছাড়াও নানা ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। এর মধ্যে অন্যতম হলো স্টল নির্মাণ ও সাজসজ্জাকারীদের প্রতি বছরে একবার কর্মের সংস্থান হয়। খাবারের দোকান চলে সারা মাস। মেলা সহায়ক মেলা বসে। যেমন শিশুদের খেলনা, মহিলাদের সাজসজ্জার উপকরণ ইত্যাদি মেলাকে আরো অর্থবহ করে তোলে। এসব কর্মকাণ্ডের সাথে সরাসরি অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকে। সবমিলে বইমেলা পাঠক, লেখক-লেখিকাদের যেমন মিলন মেলায় পরিণত হয়, তেমনি অর্থনৈতিক দিক থেকেও এর সাথে জড়িতরা লাভবান হন।

লেখকঃ বাংলাদেশ জ্ঞান সৃজনশীল প্রকাশক |√| ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক বাংলা পোস্ট |√| বিশেষ প্রতিবেদক নয়াদেশ |√|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here