অবৈধভাবে সিবিএ নেতার দখলে থাকা পাজেরো ১০ বছর পর উদ্ধার

0
379

খবর৭১ঃ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অবসরপ্রাপ্ত স্টেনো টাইপিস্ট আলাউদ্দিন মিয়া ও পিডিবির সাবেক সিবিএ (কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট) সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মিয়া ক্ষমতার অপব্যহার করে ১০ বছর ধরে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন।

তিনি একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি। গাড়ির পেছনে চালকের বেতন বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে প্রতিমাসে ৩৭ হাজার টাকা খরচ করেছেন। জ্বালানি বাবদ প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা খরচ করেন।

অথচ ওই পাজেরো গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১১২৮২৭) ব্যবহার করার এখতিয়ার যুগ্মসচিব মর্যাদার কর্মকর্তাদের। সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও চালকের বেতনসহ সব খরচ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানই। এক বছর আগে অবসরে যাওয়ার পরও গাড়িটি ছিল তার দখলে।

সোমবার অভিযান চালিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, আলাউদ্দিন মিয়া ২০১৭ সালের আগস্টে অবসরে যান। তিনি তখন পিডিবির নকশা ও পরিদর্শন পরিদফতরের স্টেনো টাইপিস্ট পদে ছিলেন। গত আগস্টে তার অবসরোত্তর ছুটির (পিআরএল) সময়সীমাও শেষ হয়েছে। তারপরও তিনি অবৈধভাবে গাড়িটি ব্যবহার করে আসছিলেন।

এই গাড়িটি সার্বক্ষণিকভাবে আলাউদ্দিন মিয়া ও তার পরিবার ব্যবহার করত। গাড়ি ব্যবহারের এখতিয়ার না থাকলেও সিবিএ নেতা হওয়ার ‘দাপটে’ তিনি গাড়িটি ব্যবহার করেছেন বলে পিডিবির কর্মচারীরা জানিয়েছেন।

সূত্র জানিয়েছে, গাড়ির জন্য প্রতিদিন ১৫ লিটার ডিজেল পেয়েছেন প্রতিষ্ঠান থেকে। এ হিসেবে ১০ বছরে তিনি ৩৫ লাখ টাকার জ্বালানি ব্যবহার করেছেন। এই সময়ে চালকে বেতন বাবদ পিডিবিকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা। রক্ষণাবেক্ষণসহ সব মিলিয়ে আলাউদ্দিন মিয়া অবৈধভাবে গাড়ির জন্য সরকারের ব্যয় করেছেন কোটি টাকারও বেশি।

দুদক সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গাড়িটি আটক করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গোপনীয়তার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান শেষে দুপুরে দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়ক ও দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। গাড়ি উদ্ধারের সময় এর চালক ছাড়া কেউ ছিলেন না। চালকের বক্তব্য রেকর্ড করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, গাড়িটি পিডিবির নামে বরাদ্দ থাকলেও ওই কর্মচারী কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৭ সালে অবসরে গেছেন।

জানা গেছে, আলাউদ্দিন মিয়া গাড়িটি ব্যবহার করলেও গাড়ির লগবইয়ে সই করতেন সিবিএর দফতর সম্পাদক নুরে আলম ফেরদৌস। আইনত যিনি গাড়ি ব্যবহার করেন তাকেই লগবইয়ে সই করতে হয়।

এই ঘটনাকে দুদকের আওতাভুক্ত এটি একটি ‘বড় অপরাধ’ হিসেবে মন্তব্য করে দুদক মহাপরিচালক বলেন, তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারীর নামে গাড়িটি কীভাবে বরাদ্দ দেয়া হলো, এর সঙ্গে পিডিবি বা অন্য কোনো অফিস%