পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কিছু বিষয় অবাক করার মতো। তেমনই ইউরোপের একটি দেশ হল ভ্যাটিকান সিটি। ১৯২৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের সবথেকে ছোট দেশ হিসেবে ভ্যাটিকান সিটির জন্ম। শহরের মতন ছোট একটি দেশে রোমান ক্যাথলিক ধর্মালম্বীরাই থাকেন।
দেশটির শাসনকর্তা হিসেবে রয়েছেন ক্যাথলিক নেতা পোপ। পুরো দেশে মোট ৭০০-৮০০ মানুষ বাস করেন।
আশ্চর্যের বিষয় হল, ৯৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এ দেশে একটি সন্তানেরও জন্ম হয়নি। নেই কোনো হাসপাতাল।
দেশটিতে বসবাসকারী শতকরা ৯০ ভাগই ভ্যাটিকানের অস্থায়ী নাগরিক। পোপ অনুমোদন দিলে তবেই নাগরিকত্ব দেওয়া হয় ভ্যাটিকান সিটির।
যদি কেউ গুরুতর অসুস্থ হন বা কোনো গর্ভবতী নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয় তবে তাকে পাশের শহর রোম তথা ইতালি দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে ব্যক্তি নিজ দেশে ফিরে আসেন।
দেশের বাইরে জন্ম হওয়ার কারণে নবজাতক শিশু পা্য না ভ্যাটিকানের নাগরিকত্ব।
বেশ কয়েকবার নানা দেশের পক্ষ থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে হাসপাতাল করার অনুরোধ করা হলেও তা বারবার নাকচ করা হয় দেশটির পক্ষ থেকে। হাসপাতাল না করার পিছনে অন্যতম একটি কারণ হল দেশটির আয়তন। মাত্র ১১৮ একরের উপর বিস্তৃত এই দেশে যদি হাসপাতাল বানানো হয় তবে অনেকটাই জায়গা লাগবে। সেইজন্যই হাসপাতাল তৈরি করা থেকে বিরত থেকেছে বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্র এ দেশ