খবর৭১:ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের কাছে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্টকহোমভিত্তিক আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট (সিপ্রি)। সোমবার তাদের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানের হাতে ১৪০ থেকে ১৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র (ওয়্যারহেড) রয়েছে। অপরদিকে ভারতের কাছে রয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০টি। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী চীনের হাতে আছে ২৮০টির মতো পারমাণবিক অস্ত্র।
সিপ্রি জানিয়েছে, বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলো তাদের পারমাণবিক অস্ত্র সংখ্যা কমালেও সেগুলোকে আধুনিকায়নের প্রতি মনযোগ দিয়েছে। কৌশলগত প্রতিরোধকের প্রতি নতুন করে যে মনযোগ দেয়া হচ্ছে তাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেও উল্লেখ করেছে এই শান্তি সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পারমাণবিক প্রতিরোধক ও সামর্থ্যের কৌশলগত গুরুত্বের প্রতি নতুন করে মনযোগ প্রদানের বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। ইনস্টিটিউটের প্রধান জান এলিয়াসন বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে একটি কার্যকর ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়ার প্রতি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলোর কাছ থেকে বিশ্বকে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি পেতে হবে।
সিপ্রি জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে নয়টি দেশের (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া) হাতে ১৪ হাজার ৪৬৫টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে তিন হাজার৭৫০টির মতো মোতায়েন করা হয়েছে।
২০১৭ সালের শুরুতে ১৪ হাজার ৯৩৫টি পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কথা উল্লেখ করে সিপ্রি জানায়, সংখ্যাটি কমেছে মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কারণে। এই দুই দেশ ২০১০ সালে স্বাক্ষরিত স্ট্রার্ট চুক্তি অনুযায়ী তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে।
এই দুই দেশের হাতে বিশ্বের ৯২ শতাংশ পারমাণবিক ওয়্যারহেড মজুত আছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। তাদের উভয়েরই দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ক কর্মসূচি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া কৌশলগত প্রতিরক্ষা হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রের গুরুত্বের প্রতি নতুন করে মনযোগী হয়েছে। ফলে সংকটকালে এগুলো ব্যবহার করা হতে পারে বলে ন্যাটোর মধ্যে আশংকা বাড়ছে। এছাড়া ব্রিটেনের কাছে ২১৫, ফ্রান্সের ৩০০, ইসরায়েলের ৮০ ও উত্তর কোরিয়ার ১০-২০টি পারমাণবিক ওয়্যারহেড রয়েছে।
খবর৭১/জি: