0
86

প্রথম দেখাতেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারল বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সহযোগী ও নবীন দেশ যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২১ মে) হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। টাইগারদের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে স্বাগতিকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচসেরা হারমিত সিং মাত্র ১৩ বলেই করেছেন ৩৩ রান। মুস্তাফিজ-শরিফুলদের ছয় হাঁকিয়ে যেন তাদের অভিজ্ঞতাকে থোড়াই কেয়ার করলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে বাউন্ডারি পেতে ধুঁকছিলেন নিউজিল্যান্ড ছেড়ে আমেরিকান দলটির হয়ে খেলতে নামা কোরি অ্যান্ডারসন, শেষ পর্যন্ত তিনিও করলেন ২৫ বলে ৩৪ রান। তাতেই ৩ বল হাতে রেখে নিশ্চিত হয়ে গেল বিশ্বকাপ আয়োজকদের স্মরণীয় জয়।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৪ রানের মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন স্বাগতিক ওপেনাররা। ৩ ওভারে ২৭ রান তোলার পর যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল (১০) শরিফুলের দুর্দান্ত থ্রো–তে রান আউট হয়ে যান। তবুও টি-টোয়েন্টির মেজাজ ধরে রেখে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার স্টিভেন টেলর ও অ্যান্দ্রিস গুস। ১৮ বলে ২৩ রান করা গুসকে ফেরান রিশাদ হোসেন।

এরপর ১৩ রানের ব্যবধানে স্বাগতিকরা আরও দুই উইকেট হারায়। ২৮ রানে টেলর এবং অ্যারন জোন্সকে ৪ রানে ফেরান ফিজ। তাতে স্বাগতিকরা চাপে পড়ে রানের গতি কমিয়ে দেয়। পরে ৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র, ১০ রান করা নিতীশ কুমারকে আউট করেন শরিফুল। এরপর অ্যান্ডারসন ধীরগতিতে খেললেও, বাউন্ডারি খেলে তাতে ভারসাম্য বজায় রাখেন হারমিত। তাদের সেই জুটিই ইতিহাসগড়া জয় এনে দেয় স্বাগতিকদের।

ক্রিকেট বিশ্বে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় আপসেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। অথচ এই দলটাই বিশ্বকাপে নতুন কিছু এনে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশটিতে পা রেখেছিল। অন্যদিকে, নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেল যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্য দেশকে হারাল তারা। এর আগে ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর স্বাদ পেয়েছিলেন প্যাটেল–আলী খানরা।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ, অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা ছিল না বাংলাদেশের। এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারিয়েছেন সফরকারী ব্যাটাররা। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ফিফটি (৫৮) ও মাহমুদউল্লাহর (৩১) ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে। এদিকে উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ ২টি এবং রিশাদ ও শরিফুল একটি করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here