দেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে সোমবার (৮ জুলাই) শুরু হচ্ছে মহররম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৬ হিজরি। আগামী ১৭ জুলাই বুধবার (১০ মহররম) দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আউয়াল হাওলাদার।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মুহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
পোশাক শ্রমিকের লাশের পাশে ডায়েরি, নিখোঁজ স্বামী
সভায় অতিরিক্ত সচিব জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৬ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। রোববার (৭ জুলাই) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সোমবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুলাই (১০ মহররম) বুধবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকেন।
কারবালা প্রান্তরে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এর শাহাদতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত আমাদের দেশে আশুরা উদযাপিত হয়। তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা আরও কিছু তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আশুরার রোজা (আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন) রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে হাদিসে।
আশুরার দিনে ফেরাউনের হাত থেকে নবী মূসা (আ.) ও তার অনুসারীদের মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোনো ঘটনা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আশুরার দিনে হযরত আদমের (আ.) তাওবা কবুল, মহাপ্লাবনের পর নূহ (আ.) এর নৌকা জুদী পর্বতের ওপর থামা ও ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করার কথা অনির্ভরযোগ্য সূত্রে কোন কোন সাহাবী-তাবিই থেকে বর্ণিত।