খবর৭১ঃ সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ছয়জনের নাম উল্লেখসহ নয়জনকে আসামি করে মামলা হয়। এর মধ্যে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। শনিবার সিলেট শাহপরাণ থানায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন।
গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি এম. সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সাইফুর রহমান ছাত্রলীগ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
এসএমপির এডিসি (মিডিয়া ) জ্যোতির্ময় সরকার জানান, রাতে পুলিশ ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে সাইফুরের রুম থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রচুর পরিমাণে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন, এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালালেও মামলার কোন আসামিকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রথমে চাপা দিতে আপোষে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে ও পুলিশ জেনে গেলে তা আর সম্ভব হয়নি। তবে সময় ক্ষেপণের কারণে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ইন্সপেক্টর ইন্দ্রানীল ভট্টাচার্য জানান, তারা আসামিদের ধরতে মাঠে কাজ করছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক তরুণী স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে যান। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান ও শাহ মাহবুবুর রহমান রনির নেতৃত্বে স্বামী ও স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা।
পরে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। রাত ১০টায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষিতা ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে। ধর্ষিতা বর্তমানে ওসামানী হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন। ঐ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা তরুণী ও স্বামীর প্রাইভেটকারও ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করেছে।