স্টামফোর্ড ছাত্রী রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় ছেলেবন্ধু আটক

0
468
ময়নাতদন্তে মেলেনি ধর্ষণের আলামত
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করা হয়েছে। শনিবার তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটককৃত যুবকের নাম আবদুর রহমান সৈকত। সে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সাবেক ছাত্র। সৈকত রুম্পার ছেলেবন্ধু ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়াও অপর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি নিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ঢাকা মাহনগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সৈকতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মিন্টু রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে ওই ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে রাজি হয়নি ডিবি পুলিশ।

এদিকে রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর রহস্য এখনও অজানা। হত্যা না আত্মহত্যা তা উদঘাটনে পিবিআই, ডিবি এবং সিআইডি আলাদাভাবে তদন্ত কাজ চালাচ্ছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে (সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে ৬৪/৪ নম্বর বাড়ির) সিসি টিভির ফুটেজ উদ্ধার করেছে রমনা থানা পুলিশ। ফুটেজে (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ভবনে প্রবেশ এবং রাত পৌনে ১১টায় ভবন থেকে পড়ে যেতে দেখা গেছে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, যে ভবনের কাছে রুম্পা পড়েছিল ওই ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রদের একটি মেস রয়েছে। ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে মেসটি বন্ধ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

রুম্পার বাবা মো. রুককুন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিণী। এক ভাই ও এক বোনের রুম্পা সবার বড়। রাজধানী ঢাকার শান্তিবাগে একটি ফ্ল্যাটে মায়ের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন সে ও তার ছোট ভাই। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন রুম্পা।

গত বুধবার টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পর রুম্পা বাইরে কাজ আছে বলে আবার বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর রাতে আর বাসায় ফিরেননি। পরে বৃহস্পতিবার রুম্পার মাসহ স্বজনরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here