খবর৭১ঃ টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও হয়নি নিষ্পত্তি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে এসেছে ফলাফল। এতে ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৪-২ গোল ব্যবধানে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে অপ্রতিরোধ্য ইতালি।
প্রথমার্ধ গোলশূন্যতে ড্র হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুদলই একটি একটি করে গোলের দেখা পেয়েছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও জিততে পারেনি কেউ। এরপর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকার নিজেদের প্রথম শটে গোল পায়নি কোনো দলই। পরের দুই শটে গোল নিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-২। চতুর্থ শটে ইতালি গোল পেলেও মোরাতার নেয়া কিক রুখে দেন ইতালির গোলকিপার। ফলে এবার ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পঞ্চম শট নেন ইতালির জর্জিনহো। বুদ্ধিদীপ্ত শটে গোল পেয়ে গেলে জয় নিশ্চিত হয় ইতালির।
এদিন শেষ হাসি রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা হাসলেও প্রথমার্ধে ইতালিকে পাত্তাই দেননি লুইস এনরিকের শিষ্যরা। প্রথম ৪৫ মিনিটে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি ইতালি। দুই-তৃতীয়াংশ সময় বলে দখল নিজেদের কাছেই রেখেছিল তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। গোলের খোঁজে শট নিয়েছিল ৫টি। যদিও সাফল্য মেলেনি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ব্যবধানেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছে স্পেনই। কিন্তু ম্যাচের ৬০তম মিনিটে উল্টো গোল খেয়ে বসে দল। এ সময় মার্কো ভেরাত্তির বাড়ানো বল ডি-বক্সের মুখে রুখে দিয়েছিলেন এমেরিক লাপোর্ত, কিন্তু বল চলে যায় চিয়েসার পায়ে। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে জায়গা বানিয়ে একটু বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড।
গোল খাওয়ার পর খেলায় আরো গতি বাড়ায় এনরিখের শিষ্যরা। এরপর ৮০তম মিনিটে আসে সমতাসূচক গোলটি। বদলি হিসেবে খেলতে নামা মোরাতা বল ওলমোকে পাস দিয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে, ফিরতি পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। খেলা শেষ হয় ১-১ ব্যবধানেই। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও দুদলই বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলো। কিন্তু পায়নি গোলের দেখা।