খবর৭১ঃ সাকিব হাসলে হাসে বাংলাদেশ’- এমনটাই সর্বজন বিদিত। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না সাকিব।
নিউজিল্যান্ড সফরে যাননি। শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে না গিয়ে গেলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে। সেখানে ৩ ম্যাচ খেলে কেকেআর একাদশে জায়গা হারালেন। সে তিন ম্যাচে ব্যাট থেকে আসল মোটে ৩৮ রান!
এরপর শ্রীলংকারর বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১৯ রান! রান পাননি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। ৮ ম্যাচে সর্বসাকুল্যে ১২০ রান করেন তিনি।
প্রশ্ন ওঠে- কী হলো সাকিবের? কবে নিজের খেলাটা দেখাবেন বাংলাদেশের পোস্টার বয়। অবশেষে দেখালেন।
ব্যাট হাতে না পারলেও বল হাতে দূতি ছড়ালেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ৭.৫ ওভার বলে করে ১৩ রানের খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
এ এক অসাধারণ বোলিং স্পেল। যদিও প্রথম স্পেলর ২ ওভারে সাফল্য পাননি। ছিলেন খরুচেও। তার ওই দুই ওভারে ১৭ রান নেন ব্রেন্ডন টেলর।
বোলিংয়ে ফিরে মধুর প্রতিশোধ নিলেন বাঁহাতি স্পিনার। ফিরিয়ে দিলেন টেলরসহ ৫ ব্যাটসম্যানকে।
সাকিবের প্রথম শিকার বিপজ্জনক হয়ে ওঠা টেলর। তার তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলটি মারতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন টেলর। আর তা শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো তাসকিন তা লুফে নেন।
সাকিবের পঞ্চম ওভারে আউট হন রায়ান বার্ল। আগের বল কাট করে বাউন্ডারি হাকান বার্ল। পরের বলে সাকিবকে স্লগ সুইপ করে ওড়াতে চাইলেন রায়ান বার্ল। কিন্তু ডিপ ডিমউইকেটে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নিলেন আফিফ হোসেন।
১৭ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বার্ল।
সাকিবের তৃতীয় শিকার ব্লেসিং মুজারাবানি। একটু জোরের ওপরে বল করেন সাকিব। জায়গায় দাঁড়িয়ে সাকিবকে খেলার চেষ্টা করেন মুজারাবানি। কিন্তু বল মিস করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন।
৪ বলে ২ রান করেই ইনিংসের ইতি ঘটে জিম্বাবুইয়ান পেসারের।
সাকিবের চতুর্থ শিকার জিম্বাবুয়ে পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা রেগিস চাকাভা। ৫১ বলে ৫৪ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি। তবে ফিফটির পর চাকাভাকে আর টিকতে দেননি সাকিব।
সাকিবকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ডিপ মিডউইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
নিজের শেষ ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে কট বিহাইন্ড করেন সাকিব। ওয়ানডেতে তৃতীয়বারের মতো নেন পাঁচ উইকেট।
এ নিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে সাকিবের মোট উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ২৭৪টি। যা বাংলাদেশের বোলারদের এখন সর্বোচ্চ। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, ২৭০টি। রায়ান বার্লকে আউট করার পর মাশরাফির রেকর্ড নিজের দখল নিলেন সাকিব।