মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর)ঃ যশোরের চৌগাছায় আবারও কথিত নাশকতার মামলার আসামী হলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সম্পাদকসহ বিএনপি জামায়াতের ৪৬ জন নেতাকর্মী। চৌগাছা থানার এসআই জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে মঙ্গলাবার সংশ্লিষ্ঠ থানায় মামলাটি করেন। একের পর এক কথিত এই নাশকতা মামলা হওয়ায় উপজেলার সচেতন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে থানা পুলিশ গোপন সংবদের মাধ্যমে জানতে পারেন উপজেলার খড়ি া দাখিল মাদ্রাসা সন্নিকটে মাঠের মধ্যে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে। রাত আনুমানিক ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে থানা পুলিশ সেখানে হাজির হলে তারা বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় বৈঠক স্থল থেকে ২টি হাত বোমা, বিস্ফোরিত বোমার আলামত, লিফলেট ও বিপুল পরিমান জিহাদী বই উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ টর্স লাইটের আলোয় উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলীসহ বিএনপি জামায়াতের ৪৬ জন নেতাকর্মীরকে চিনতে পারেন। থানার এসআই জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে মঙ্গলবার উল্লেখিত নেতাদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন। এ বিষয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আকিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যেয়ে বৈঠকের বিষয়টি দেখতে পান। এ ঘটনায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত রমজান মাসে দলীয় ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ারসহ ২৬ জন নেতাকর্মী নাশকতা মালার আসামী হন। সেই মামলায় নেতাকর্মীরা প্রথমে হাইকোর্ট পরবর্তীতে নিন্ম আদালতে আত্মসমার্পন করে বেশ কিছুদিন জেল খেটে বাড়িতে আসেন। এখনও সেই মামলায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরকে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে। একটি মামলার রেশ কাটতে না কটতে আবার মামলা হওয়ায় উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খবর৭১/এসঃ