উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের গৃহকর্মী শিশুকন্যা রোকসানা (১০) নির্যাতন মামলার আসামি গৃহকর্ত্রী সোনিয়া খাতুনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জামিন না মঞ্জুর করে সোনিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক জাহিদ হাসান।
জানা যায়, প্রায় ৮ মাস আগে ঢাকার ওয়ারি এলাকার ইলিয়াস হোসেন পলাশ নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয় নড়াইলের বাহিরপাড়া গ্রামের দিনমজুর রাসেল শেখের শিশুকন্যা রোকসানা। পলাশের স্ত্রী সোনিয়া ও তার ভাই ইব্রাহিম শিশুটির ওপর নির্মম নির্যাতন করে। রোকসানাকে প্রথমে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং পরে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ভূক্তভোগী শিশুটির মা রতনা বেগম জানান, গত জানুয়ারিতে প্রতিবেশি সালেহা বেগমের মাধ্যমে রোকসানাকে ঢাকার ওয়ারিতে পলাশের বাসায় পাঠানো হয়। পলাশদের বাসা থেকে গত ১৭ আগস্ট রতনাকে জানানো হয়, রোকসানা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রোকসানার মা ঢাকায় গিয়ে মেয়েকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দেখতে পান।
ঢাকা থেকে এনে ১৯ আগস্ট রোকসানাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোকসানার কঙ্কালের মতো শরীর দেখে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মশিউর রহমান বাবু নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে, জানান, রোকসানার শরীর জুড়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন এবং পোড়া দাগ রয়েছে। এছাড়া হাড় ভেঙ্গে গেছে। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৪ আগস্ট রোকসানাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে রোকসানার বাবা বাদী হয়ে গৃহকর্ত্রী সোনিয়াসহ চারজনকে আসামী করে নড়াইলের লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নড়াইল ও ঢাকায় মানববন্ধন করেছেন।।
খবর৭১/এসঃ