ঋণের বোঝা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা

0
224

খবর ৭১ঃলক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনায় ইলিশের দেখা নেই দেড় মাস। ভরা মৌসুমে নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে হতাশা নিয়ে ফিরছেন জেলেরা। বেকার হয়ে পড়েছেন রায়পুর উপজেলাসহ জেলার ৬৫ হাজার জেলে।

পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবতার জীবনযাপন চলছে তাদের। লাখ লাখ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেক জেলে।

এদিকে জেলেরা মাছ শিকার করতে না পারায় অলস সময় কাটছে আড়তদারদের। বন্ধ হয়ে গেছে মাছ ঘাটের হাঁকডাক। মহাজনরা জেলেদের লাখ লাখ টাকা দিয়ে অনেকটাই খালি হাতে বসে আছে। যেখানে প্রতিদিন বেচাকেনা এক থেকে দেড় কোটি টাকার ইলিশ। সেখানে মাত্র ২০-৪০ হাজার টাকার ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুন থেকে আগস্ট এ তিন মাস মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের মৌসুম। কিন্তু নদীতে মাছ না থাকায় মাছ শিকারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলেরা। বিভিন্ন সময় নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ভরা মৌসুমে অনেক আশা নিয়ে মাছ শিকারে নামলেও জালে আশানুরূপ ধরা পড়ছে না রুপালি ইলিশ। খরচের তুলনায় মাছ না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয় জেলেরা।

মহাজনের দাদনসহ লাখ লাখ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে চিন্তিত তারা। দাদনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেকে। কেউ আবার ক্ষণিকের জন্য পেশা বদল করে দিনমজুরসহ নানা পেশায় জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে।

সোমবার রায়পুরের হাজীমারা ও কুচিয়ামারা এলাকার জেলেরা জানান, ভোর রাত থেকে পরের দিন ৮টা পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলে যে পরিমাণ মাছ পাচ্ছেন তা বিক্রি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে হিমশিম হচ্ছে। এক একটি নৌকায় ৭-৮ জন জেলে থাকে। জ্বালানিসহ দৈনিক খরচ তাদের ৮-১০ হাজার টাকা।

সারারাত মাছ শিকার করে পায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এতে বাকি টাকা লোকসান গুনতে হয় তাদের। গত দেড় মাস ধরে নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে তারা খালি নৌকা নিয়ে ফিরে আসেন, আবার কেউ খরচের তুলনায় মাছ না পাওয়ায় নদীতেও যাচ্ছে না।

ইলিশ কম পাওয়ার বিষয় স্বীকার করে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, জুন-জুলাই দুই মাস নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যায়। ইলিশ ভ্রমণশীল এবং মাইগ্রেট ফিস। পূর্ণিমার ওপর নির্ভর করে। পানির প্রবাহ থাকলে ও বৃষ্টিপাত হলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নদীতে মাছ পাওয়া যাবে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here