উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে

0
356

খবর৭১:কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪২৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।

উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এটি বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন রিটানিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল।
নির্ভয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ও উৎসবমুখর রয়েছে। ভোটারদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার সদস্য কাজ করছেন।

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে এর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনের দিন ভোট দেওয়ার সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে পাশাপাশি সকল তফসিলি ব্যাংক, অধস্তন আদালত এবং এলাকার গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্প কারখানাও বন্ধ রয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে তিনি জানান।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন।

এবারই প্রথম ভোট গ্রহণ পরিস্থিতির তথ্য তাৎক্ষণিক জানার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে দুঘণ্টা পরপর প্রয়োজনীয় সার্বিক তথ্য কমিশন সচিবালয়কে জানাবেন। কোন কেন্দ্রে জাল ভোট বা সিল মারার ঘটনা ঘটলে বা তথ্য পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে কমিশন। ভোট কেন্দ্রে কোন অঘটন বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তারা এসএমএসের মাধ্যমে কমিশনকে জানাবেন। এক্ষেত্রে কমিশন ঢাকায় বসে এসব এসএমএসের তথ্য অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।

ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট কার্যক্রমের গতি-প্রকৃতি, ভোটার, প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকদের গতিবিধি এবং সর্বোপরি নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনসহ সব কিছু সাধারণ পোশাকে ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করবেন ইসির নীরব পর্যবেক্ষকরা। ভোটে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখলে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত এবং প্রয়োজনে তারা কমিশনকে ঘটনার তথ্য জানাবেন।

নির্বাচনের নিরাপত্তায় মাঠে টহল দিচ্ছেন কয়েক হাজার বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য। আচরণবিধি দেখভাল করতে নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here