খবর৭১: জমজমাট লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের ৭ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের গোলে এগিয়ে যায় ডেনিশরা। এর পর ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইল জেডিনাক।
এদিন শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। ডি বক্সের ভেতরে চতুরতার সঙ্গে আলতো ছোঁয়ায় সতীর্থ এরিকসনকে বল দিয়ে দেন নিকোলাই জারগেনসন। বক্সের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এরিকসন বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে করেন দুর্দান্ত এক গোল, অস্ট্রেলিয়া গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ান কোনো সুযোগই পাননি (১-০)। ডেনমার্কের হয়ে গত ১৫ ম্যাচে এটি ১৩তম গোল টটেনহাম মিডফিল্ডারের। এর বাইরে আছে ৫টি অ্যাসিস্টও।
ম্যাচের ২২ মিনিটে ডেনমার্কের পিয়েনো সিস্তোর বক্সের একটু বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের শট আটকে দেন রায়ান। পরের মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে টম রজিকের শট গোলবারের ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২৪ মিনিটে আবারও এগিয়ে যেতে পারতো ডেনমার্ক। ডানপাশ থেকে হেনরিক ডালসগার্ডের ক্রসে বক্সের মধ্যে দৌঁড়ে এসে মাথা ছুঁয়ালেও সেটা ছয় গজ দূর দিয়ে চলে যায়।
৩০ মিনিটে অনেকটা সময় আক্রমণে ছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে রবি ক্রুজের বক্সের মাঝ থেকে নেয়া শট আটকে যায় ডেনমার্কের রক্ষণে। একই মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অ্যারন ময়ের চেষ্টাও বিফলে যায়।
এর ৬ মিনিট পরই মার্ক মিলিগানের হেড বক্সের মধ্যে ইউসুফ ইউরারির হাতে লেগে গেলে ভিএআরের শরণাপন্ন হন রেফারি। বল হাতে লাগার প্রমাণ পাওয়ায় হলুদ কার্ড দেখেন ইউরারি, পেনাল্টি পায় অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মাইল জেডিনাক ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি (১-১)।
৪৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে এরিকসনের ক্রস পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে পেয়ে গিয়েছিলেন জেন্স স্ট্রেইগার লারসেন। তবে তার হেড সহজেই ধরে ফেলেন অস্ট্রেলিয়া গোলরক্ষক রায়ান। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-১ গোলে সমতা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করেছে দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে দুদল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কেউই। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুদল।
খবর৭১/এস: