মাগুরা হাসপাতালে রোগিদের খাবার নিয়ে অনিয়ম

0
245

মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে রোগিরে জন্য বরাদ্দকৃত খাবার বিতরণে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিচালিত সরেজমিন তদন্তে এ অনিয়মের সত্যতা উঠে এসেছে।জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার হাবিব ও ফারুক আহম্মেদ জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল দুপুরে মাগুরা সদর হাসপাতালে রোগীদের সরবরাকৃত খাদ্যের মান এবং খাদ্য তালিকা সরেজমিনে যাচাই করতে যান। যাচাইকালে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত বরাদ্দ প্রতিটি রোগীর জন্য সকালে ও দুপুরে যে পরিমাণ খাবার সরবরাহ করার কথা সে পরিমাণ খাবার রোগিরা পাচ্ছেন না।রোগীরা তাদের কাছে জানান, তাদের জন্য প্রতিদিন দুধ (ডানো) ও চিনি বরাদ্দ থাকলেও কখনই তা সরবরাহ করা হয় না। যে মাছ, মাংস দেওয়া হয় তা বরাদ্দের তুলনায় অতি সামান্য। হাসপাতালের কুক মশালচি সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন বরাদ্দকৃত চাল থেকে ১ কেজি, মাংস হতে ১০০ গ্রাম এবং সবজি হতে ১ কেজি করে কম সরবরাহ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, খাসীর মাংস দেয়ার কথা থাকলেও দুপুর দেড় টা পর্যন্ত হাসাপাতালে রান্না ঘেরে কোন মাংস আসেনি। গতকাল ৮৮ জন রোগির জন্য তিন কেজি পেপে ও ৫০০ গ্রাম আলু সরবরাহ করা হয়েছে। ম্যানু অনুযায়ী চাল কুমড়া দেওয়ার কথা থাকলেও বাস্ববে তা দেওয়া হয়নি। রাজন সরকার, হাছান আলী, নাজমা পারভীনসহ একাধিক রোগির সাথে কথা বললে জানান, তারা তিন চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও কোন খাবার পাননি। হাসপাতালে তিন শ’ রেগি ভর্তি থাকলে সেখানে ৩০-৪০ জনকে খাবার দেওয়া হয়। রোগিরা যারা খাবার পান তার মানও ভালো না। পেয়িং বেডের রোগীদের দুধ এবং চিনি দেয়ার কথা থাকলেও তারা কখনোই দেওয়া হয়না।হাসপাতালের রান্না ঘরের বার্বুচি রেহেনা বেগম বলেন, খাসীর মাংস সরবারাহ করা কথা থাকলেও ঠিকাদার কখনোই তা দেন না। মাংসর পরিবর্তে পিলাই, ফ্যাকশা ও চামড়া সরবরাহ করেন। রুই মাছ দেওয়ার কথা থাকলেও সরবরাহ করা হয় পোনা মাছ। দুধ, চিনি কখনই সরবরাহ করা হয় না। হাসপাতালে খাদ্য তালিকানুযায়ি প্রতিদিন পেইং বেড়ের রেগিরা দুধ. চিনি, কলা, ডিম ও সাধারণ বেডের রুগিরা পউরুটি, ডিম, কলা, ভাত, ডাল, বিভিন্ন শবজী। এ ছাড়া শনি, সোম, বুধবার রোগি প্রতি দুপুরে ও রাতে ১১০ গ্রাম রুই মাছ, বৃহস্পতি, মঙ্গল, রবিবার দুপুরে রাতে ৫৫ গ্রাম খাসীর মাংস এবং শুক্রবার দুই বেলা ১১২ গ্রাম করে মুরগির মাংস বরাদ্দ রয়েছে। শেখ ইসতিয়াক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, খাতা কলমে রোগিদের জন্য সবকিছু বরাদ্দ থাকলেও তার চার ভাগের এক ভাগও সরবরাহ করা হয়না। সবই চুরি হয়ে যায়, দেখার কেউ নাই।এ ব্যাপারে হাসপাতালে খাদ্য সরবরাহে নিয়োজিত ঠিকাদার ফারুক আহম্মেদ জানান, তার লাইসেন্সে কাজ নেওয়া হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা সাব-ঠিকাদার হিসেবে খাবার সরবরাহ করেন। অনিয়ম হলেও তার কিছু বলার নাই।হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা.সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, খাবার নিয়ে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিয়ষটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here