খবর৭১: ফরাসি ভাষায় পোয়েইগনে দে মাঁ…বাংলায় যাকে বলে করমর্দন…
একজনের বয়স ৭১, অপর জনের ৪০। ছবি দেখে মনে হতেই পারে একজনের থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে অপর জনকে।
প্রথম জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, দ্বিতীয় জন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন।
বছরখানেক আগে দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের সূচনা বিশ্ব জুড়ে খবর হয়ে গিয়েছিল এই করমর্দনের দৌলতেই।
প্যারিসে বাস্তিল ডে পালনের অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাঁদরেল করমর্দনের জবাবে ম্যাক্রন এমন জোরসে ট্রাম্পের হাত চেপে ধরেছিলেন যে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এ বার জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে করমর্দনের পরেও ম্যাক্রনের আঙুলের ছাপ রয়ে গেল ট্রাম্পের হাতে।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।
যদিও করমর্দনের ছবি বলছে, এই চাপাচাপির খেলাকে বেশ মজাচ্ছলেই নিয়েছেন দুপক্ষ। কিছু দিন আগে হোয়াইট হাউসেও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সাক্ষাত হয়েছে। ট্রাম্প ম্যাক্রনের স্যুটে একবার হাত ছুঁইয়ে তা ঠিক করেও দিচ্ছেন, এমনটাও দেখা গিয়েছে।
এ বারের করমর্দন টানা ২৯ সেকেন্ড ধরে। সেই ছবিতে ম্যাক্রনের মুখে দুষ্টুমি যেমন লুকোয়নি, তেমনি ট্রাম্পের মুখেও যেন উপভোগ করার ঢঙেই ‘ছেড়ে দে ভাই আর পারি না’ গোছের প্রকাশ।
হাত ছাড়াছাড়ির পর দেখা গেল, ট্রাম্পের হাতে রয়ে গিয়েছে ম্যাক্রনের বুড়ো আঙুলের স্পষ্ট ছাপ। ট্রাম্পের হাতে ম্যাক্রনের আঙুলের ছাপওয়ালা এই ছবি রীতিমতো ভাইরালও হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার লক্ষ্যে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে এসেছিলেন ট্রাম্প। সেই আচরণের সমালোচনা করেছিলেন ম্যাক্রন।
আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে ফরাসি ফার্স্ট লেডি ব্রিজিতের সঙ্গে করমর্দনের সময় বেশ কিছুক্ষণ তার হাত ধরে থাকায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে।
কেউ কেউ বলছেন, সব কিছু ভেবেচিন্তেই হয়তো ম্যাক্রনের এই করমর্দন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাই প্রকাশ পেয়েছ এই করমর্দনে। কারণ শুক্রবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘ম্যাক্রন আর আমার মধ্যে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক।’
খবর৭১/এস: