খবর ৭১ঃঅবশেষে দীর্ঘ চার মাস পর ইতালিতে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট কাটিয়ে চার দিনের মধ্যে নতুন জোট সরকার গঠন করা হয়েছে।
অনেক চড়াই উৎরাই পার করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কনতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম অনুমোদন দেন দেশটির ১২তম প্রেসিডেন্ট সেরজো মাত্তারেল্লি।
অনুমোদন দেয়ার পর শুক্রবার শপথ পাঠ করানো হয় নতুন মন্ত্রী পরিষদকে। ফাইভ স্টার মুভমেন্টের লুইজি দি মাইও ও ডানপন্থী লেগা নর্দ দলের মাত্তেও সালভিনিকে নিয়ে নতুন জোট সরকার গঠিত হল।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ বহুল আলোচিত ইতালিতে একটি সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নির্দিষ্ট কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর ফলে নির্বাচনের চার মাস পরেও দেশটি সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়নি।
নির্বাচনে ফাইভ স্টার মুভমেন্ট পায় ৩২ শতাংশ ভোট এবং লেগা নর্দ পায় ১৮ শতাংশ ভোট। ফলে এই দুই দলের জোটকে প্রধানমন্ত্রী করার বিষয়ে সম্মত হলে গত ২৮ মে প্রথম দফায় মন্ত্রিসভার নাম প্রস্তাব করলে সেখানে থাকা অর্থমন্ত্রীর নাম নিয়ে আপত্তি তুলেন প্রেসিডেন্ট সেরজো মাত্তারেল্লো।
এরপর ৩১ মে নতুন মন্ত্রিসভার তালিকা নিয়ে গেলে তা অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট মাত্তারেল্লো। পরে দ্বিতীয় দফায় অর্থমন্ত্রীর পদে জোভানি ত্রিয়ার নাম প্রস্তাব করা হলে মেনে নেন তিনি।
আইনের অধ্যাপক জুসেপ্পে কনতের নেতৃত্বে নতুন পপুলিষ্ট সরকার ক্ষমতা নিলেন। নতুন সরকারের শিল্প ও উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন ফাইভ স্টার মুভমেন্ট দলের নেতা লুইজি দি মাইয়ো।
অন্যদিকে লেগা নর্দ দলের নেতা মাত্তেও সালভিনি পেলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। স্বতন্ত্র মন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন এনজো মোয়াভেরো মিলানেসি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ফাইভ স্টার নেতা এলিজাবেত্তা ট্রেন্টা।
ফাইভ স্টার মুভমেন্ট দলের নেতা লুইজি ডি মাইয়ো এবং লেগা নর্দ নেতা মাত্তেও সালভিনি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ফাইভ স্টার-লেগা নর্দ সরকার গঠনের জন্য প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লার দেয়া সব শর্ত পূরণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কনতে ক্ষমতা গ্রহণের পর বলেন, সরকার গঠনের চুক্তিতে এরই মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার অনুধাবনে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব।
এদিকে লেগা নর্দ দলের নেতা নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি ইতিমধ্যে ইতালিতে বসবাসরত পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশ ফেরত দেয়ার ঘোষণা দেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে যা বিতর্ক সৃষ্টি করেন। তার এমন বক্তব্যে ভয় আতংকে রয়েছেন বাংলাদেশি অভিবাসীসহ অন্যান্য অভিবাসীরা।
খবর ৭১/ইঃ