বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের চিতলমারীতে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মিতুল বিশ্বাস (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে চিতলমারী উপজেলার চিংগুরি এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মিঠুন চিতলমারী উপজেলার চিংগুরি গ্রামের খোকা বিশ্বাসের ছেলে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল বিশ্বাস জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে মাদক স¤্রাট মিতুনকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে সাথে নিয়ে পুলিশের একটি দল মাদক উদ্ধারের জন্য তার বাড়ির দিকে রওনা হয়। এসময় লুৎফর মেলেটারীর বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় পৌছালে তার সহযোগীরা পুলিশের উপর গুলিছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলিছোড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের হাত থেকে মিতুল পালিয়ে যায়। গুলিবিনিময়ে এক পর্যায়ে মাদক সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাসী চালিয়ে মিতুলের গুলিবিদ্ধ মরদেহ, একটি শাটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ছুরি, দুই কেজি গাঁজা ও ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। মাদক বিক্রেতার মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত মাদক ব্যবসায়ী মিতুলের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।
বাগেরহাটে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদকসেবীসহ আটক ৩৬: বাগেরহাটে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ মাদকসেবীসহ ৩৬ জন আটক করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত পুলিশ জেলার ৯ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতদের মধ্যে ৭জনকে মাদকসহ এবং অন্যরা বিভিন্ন নিয়মিত মামলার আসামী বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকা থেকে গাঁজাসহ ৩ মাদক সেবী, ফকিরহাট থেকে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ২ জন, মোংলা থেকে গাঁজাসহ ১ জন, কচুয়ার গজালিয়া থেকে ইয়াবাসহ ১ মাদক সেবীকে আটক করা হয়।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, বাগেরহাটে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ মাদকসেবীসহ ৩৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলে তিনি জানান।