খবর৭১: রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের বিদ্রোহ দমনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া ছিল ‘দুর্বল’। পাশাপাশি পুতিন নিজের লোকদের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন এবং তার ক্ষমতা ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এমনটাই দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রোববার পশ্চিমা গণমাধ্যম সিএনএন নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এ দাবি করেন। জেলেনস্কি বলেন, আমরা দেখেছি, পুতিন বিদ্রোহ দমনে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এটি খুবই দুর্বল ছিল।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘প্রথমত আমরা যে বিষয়টি দেখেছি তা হলো, এখন তিনি (পুতিন) আর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। ওয়াগনার রাশিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। বিষয়টি যে কতটা সহজ ছিল তাও আমরা দেখেছি। ওই অঞ্চলে পুতিন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তিনি (পুতিন) ক্ষমতার যেসব খুঁটি ব্যবহার করতেন তা স্রেফ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় তিনি দাবি করেন, অন্তত অর্ধেক রাশিয়ান ওয়াগনারের বিদ্রোহকে সমর্থন করেছে।
এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সমগ্র বিশ্ব হত্যা করতে চায় বলে দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘সত্য বলতে, আমার থেকে পুতিনের জন্য এটা অধিক ভয়াবহ। কারণ শুধুমাত্র রাশিয়াই আমাকে হত্যা করতে চায়। অন্যদিকে সমগ্র বিশ্ব তাকে (পুতিন) হত্যা করতে চায়।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কর্তৃত্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যুদ্ধের ময়দানেও এটা প্রভাব ফেলেছে। এটা থেকে তার দেশের সেনাবাহিনী লাভবান হবে। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে হবে। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে শত্রুদের আমাদের দেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা যুদ্ধে পরাজিত হচ্ছে। এ কারণে তারা একে অন্যকে দোষারোপ করছে।