সৈয়দপুরে হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া পুত্রের মুক্তির মায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0
340

সৈয়দপুর প্রতিনিধি:
আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। অনেক কস্ট করে ছেলেকে পড়ালেখা করিয়েছি। সবেমাত্র সে অনার্স পাশ করেছে। কিন্ত সৈয়দপুরে রিক্সাচালক হত্যা মামলায় পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে সে অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দি রয়েছে। আমার নির্দোষ ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ধ্বংস হতে চলেছে। ওই মামলা থেকে অব্যাহতিসহ আমার ছেলের মুক্তি চাই।

কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেছেন সৈয়দপুরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রিক্সাচালক দুলাল মন্ডল হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন আসামি মেধাবী ছাত্র ইউসুফ আলী জিতুর মা শিরিন বানু। একই সাথে এ হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক মূলক শাস্তিরও দাবি করেন তিনি। গতকাল সোমবার রাতে স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৮ আগস্ট রাতে কোন এক সময় শহরের নতুন বাবুপাড়ায় দুর্বৃত্তের হাতে ওই রিকশাচালক দুলাল খুন হন। খুনের ওই ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট সকালে সন্দেহজনক হিসেবে তাঁর ছেলে ইউসুফ আলীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় থানা পুলিশ। তিনি বলেন,হত্যা মামলার বাদী এবং ভিকটিমের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায়। কিন্তু আমাদের বাড়ি সৈয়দপুরে। নিহত দুলাল ও তাঁর পরিবারের সাথে তাঁর পুত্র কিংবা পরিবারের কোন শত্রুতা নেই। অথচ তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় লোকজন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দৌড়ে পালানো ব্যক্তি মো. ইউসুফ আলী বলে শনাক্ত করে। যা আদৌও সত্য নয়। পুলিশের তদন্ত চলা অবস্থায় হয়তো কেউ শত্রুতাবশতঃ তার আক্রোশ মিটানোর জন্য মিথ্যে তথ্য প্রদান করে তদন্তকারীকে বিভ্রান্ত করেছেন। ইউসুফ আলী জিতুর মা বলেন, তার ছেলে একজন মেধাবী ছাত্র। স্থানীয় লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকার এসকে বোরহানউদ্দীন কলেজ থেকে এ বছর ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে অনার্স পাশ করেছে। করোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকায় সে সৈয়দপুরে অবস্থান করছিল। অথচ পুলিশ প্রকৃত খুনিকে বাদ দিয়ে তাঁর নিরীহ ছেলেকে হত্যার ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে।

শিরিন বানু সংবাদ সম্মেলনে জানান রিক্সাচালক দুলাল মন্ডল হত্যার বিচার হোক। এটা আমিও চাই। একজন অসহায় মা হিসেবে তাঁর ছেলেকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি ও মুক্তি দাবি করেন তিনি ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here