মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর থেকে
কিছুতেই সাধারণের নাগালে আসছে না নিত্যপণ্যের দাম। তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, ডিম, মুরগিসহ সব পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য ব্যবসায়ীরা বিশ্ব বাজারের দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত দাম বাড়াচ্ছে নিত্যপণ্যের। আর অন্য কারবারিরা আমদানি কমের অজুহাত দিয়ে দাম বৃদ্ধির কথা বলছে সবজি, ডিম-মুরগির। বিশেষ করে বাজারে সয়াবিন, পাম অয়েল, চিনি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বল্প আয়ের কর্মজীবী মানুষ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬৫ টাকা কেজির চিনি এখন ৮০ টাকা। আর ১৩০ টাকা কেজির খোলা সয়াবিন ১৫২ টাকা, ৭৫ টাকার পামঅয়েল ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১২০ টাকা কেজি দরের ব্রয়লার মুরগি এখন ১৮০ টাকা, ২২০ টাকার সোনালী মুরগি ২৯০ টাকা, ৩০০ টাকার দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজিতে। পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও সবজি লাগামছাড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছে, সরকারের দূর্বল নজরদারির খেসারত দিচ্ছি আমরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের মুদি ও কাঁচা বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বাজারে সরকারের শুল্ক ছাড়ের কোন প্রভাব পড়েনি। শুল্ক ছাড়ে দাম কমেনি কোন পণ্যের। বাজারে প্রতি কেজি চিকন মসুর ডাল ৯৮ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৮৮ টাকা, এ্যাংকর ডাল ৪৪ টাকা, ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৫৫ টাকা, খোলা আটা ৩২ টাকা, এক হালি ডিম ৩৪ টাকা, দেশী ডিম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা বাজারে শীতের সব রকমের সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দেশী পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, ফুল কপি ১০০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, বাধাকপি ৮০ টাকা। সব পণ্যের দাম যেন দিন দিন ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। উর্ধ্বমুখী দামের উত্তাপে চাহিদামত পণ্য কিনতে পারছে না স্বল্প আয়ের মানুষ।
পৌর সবজি বাজারে কথা হয় বাজার করতে আসা চাকুরিজীবী আব্দুস সামাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে চাকুরিজবীবীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পণ্যের দামের সঙ্গে বেতন তো বাড়ছে না। মাস শেষ না হতেই এখন পকেট শূন্য হয়ে যাচ্ছে।
পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে গেট বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান বলেন, পাইকারী বাজারে পণ্যের দাম চড়া, চড়া দামের প্রভাবে বাজারে পণ্যের দাম কমছে না। পাইকারী বাজারে দাম না কমলে খুচরা বাজারে দাম কমবে না।