মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর থেকে :
জমে উঠেছে শ্রমিক সেক্টরের বৃহৎ সংগঠন নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণা। সংগঠনের ১৮টি পদের বিপরীতে ৪৯ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের নির্বাচনী কর্মকান্ড। আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে কাঙ্খিত ওই নির্বাচন। ওইদিন সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় চত্বরে সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। এদিকে নির্বাচনে জয় পেতে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। সংগঠনের ৩ হাজার ১২ জন ভোটারদের মন জয় করে তাদের নিজ পক্ষে নিতে প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীন প্রচারণা। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ কার্যক্রম। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। সেই সাথে ভোটারদের বাড়ছে কদর। ওই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী আলোচিত হচ্ছে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদটি নিয়ে। ওই দুটি পদে রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী। ফলে ওই দুটি পদকে নিয়ে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে শুরু হযেছে নানা জল্পনা কল্পনা। বিশেষ করে পরিবহন সেক্টরের জনপ্রিয় নেতা জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আখতার হোসেন বাদলের মৃত্যুর পর ওই পদে কে আসছেন তা নিয়ে চলছে জোড়ালো আলোচনা। সভাপতির আসনে বসতে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন প্রয়াত আখতার হোসেন বাদলের বিশ্বস্ত কর্মী সংগঠনের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মমতাজ আলী ও নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের ছোট ভাই সংগঠনের বর্তমান সহ-সভাপতি দেওয়ান মুজিবুদ্দৌলা জকি। উভয় প্রার্থী তাদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে জয়ী হতে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের নির্বাচনী প্রচারণা। সংগঠনের ১৮টি পদে যারা নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন তারা হলেন সভাপতি পদে মো. মমতাজ আলী (চাকা) ও দেওয়ান মুজিবুদ্দৌলা জকি (মোটর), কার্যকরী সভাপতি পদে মো. হারুন-উর-রশিদ (টেলিফোন) ও মো. জিকরুল হক (কুঁড়েঘর), সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন মো. দেলোয়ার হোসেন বাবলু (খেজুরগাছ), মো. ছাইদুল ইসলাম (মই), সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আলতাফ হোসেন (ঘড়ি) ও মোহাম্মদ আলী (মোমবাতি)। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মোফাজ্জল হোসেন (গাভী), মো. গোলাম মোস্তফা (চেয়ার) ও মো. মমিনুর রহমান (জগ)। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আফজাল হোসেন (টিয়াপাখি), মো. আকবর আলী আকুয়া (আনারস), মো. আলমগীর কবির (নলকূপ), মো. ওয়াজেদ আলী(শাপলা ফুল) ও মো. জাহাঙ্গীর আলম (কাস্তে)। কোষাধ্যক্ষ পদে মো. মনছুর আলী এমাদি (বই) ও মোহাম্মদ রাশেদ আলী (তালা)। দপ্তর সম্পাদক পদে মো. এফাজ উদ্দিন সরকার (দোয়াত কলম) ও মো. আব্দুল গনি ইসরাইল (প্রজাপতি), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. আব্দুর রশিদ (উড়োজাহাজ), মো. মাসুদ রানা (চাবি) ও আশিকুর রহমান (লেলিন) (বাইসাইকেল)। সড়ক সম্পাদক (আন্তঃজেলা) পদে শফিকুল ইসলাম (মশাল) ও মো. সোরাব হোসেন (বাতি)। সড়ক সম্পাদক (অভ্যন্তরীণ) পদে মো. জাহাঙ্গীর আলম (আম) মো. স্বপন (স্টিয়ারিং) ও মো. জাহেদুল ইসলাম (পাখা)। প্রচার সম্পাদক পদে আব্দুল জলিল (তলোয়ার) ও আব্দুস সামাদ (হরিণ)।সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে মো. লেবু মিয়া (টেবিল) ও মো. হাফিজুল ইসলাম (কলম)। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. জাহেদুল ইসলাম মানিক (মাছ), অনাথ অধিকারী (তারা), মমতাজ আলী (হারমোনিয়াম) ও পলাশ হোসেন (গিটার)। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. স্বপন (চিরুনী), মো. সাবের আলী (ফুটবল)। এছাড়া সংগঠনটির কার্যকরী সদস্যের ৩টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ জন প্রার্থী। এরা হলেন মো. আইনুল হুদা (দোয়েল পাখি), মো. আরিফ আল মাহমুদ (বালতি) মো. আবেদ আলী (ঢেঁকি), মো. জাহাঙ্গীর আলম (অটোরিক্সা), মো. আশিকুর রহমান (ঘুড়ি), মো. ডাবলু (চশমা), মো. তাহমিদ হোসেন (রিক্সা), মো. রবিউল ইসলাম (পদ্মফুল), মো. মোকসেদুল ইসলাম (টেলিভিশন), মো. রবিউল ইসলাম (ট্রাক) ও নিমাই চন্দ্র রায় (কড়াই)।
প্রসঙ্গত. নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি. নং- ২২০) ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন গত ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে নির্বাচনটি স্থগিত করা হয়। পরে তা স্বাভাবিক হলে নির্বাচন কমিশন আগামী ৩০ অক্টোবর নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেন। এতে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহমুদুল হাসান।