খবর৭১ঃ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এ পরিসংখ্যান সঠিক নয় বলছে বিবিসির একটি গবেষণা। এতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ মৃতের সংখ্যা গোপন করছে। আরও অন্তত এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছেন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে, যাদের নাম মৃতের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
বিবিসি বলছে, অন্তত ২৭টি দেশের তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এ মহামারীতে সেসব দেশে মৃত্যুর সংখ্যা এবং হার বেশি।
বিশ্বব্যাপী নানা দেশের সরকার যে তথ্য দিচ্ছে তার চেয়ে আসল মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। যুক্তরাজ্যে অন্য বছরের তুলনায় একই সময়ে ৪৩ শতাংশ বেশি মানুষ মারা গেছেন।
৬৪ হাজার ৫০০ মানুষ বেশি মারা গেছেন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে। দেশটিতে সরকারি হিসেবে করোনায় মৃত্যু ৪২ হাজারের কিছু বেশি।
স্পেনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ মানুষ বেশি মারা গেছেন। প্রায় ৪২ হাজার ৯০০ মানুষ বেশি মারা গেছেন দেশটিতে। এ পরিসংখ্যান ২ মার্চ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত। একই সময়ে করোনাসংক্রান্ত রোগে আনুষ্ঠানিক মৃতের সংখ্যা ২৭ হাজার ৭০৯ জন।
বেলজিয়ামে ৩৭ শতাংশ বেশি মানুষ মারা গেছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮১০০ জন বেশি মানুষ মারা গেছেন এ করোনার সময়ে। আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ হাজার ৬০০-এর বেশি মানুষ মারা গেছেন দেশটিতে।
ইতালিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেশি। প্রায় ৪২ হাজার ৯০০ ব্যক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মারা গেছেন। সরকারি পরিসংখ্যানে করোনায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজারের বেশি।
ব্রাজিলেও স্বাভাবিক সময় থেকে মারা গেছে ৩৮ শতাংশ বেশি, যা ১৯ হাজার ৩শ’ জন। সরকারি হিসাবে ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন লাতিন আমেরিকার দেশটিতে।
স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৯৭ হাজার ৩০০ মানুষ বেশি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, যা ১৬ শতাংশ বেশি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে ১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
রাশিয়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ শতাংশ মানুষ বেশি মারা গেছেন, যা সংখ্যায় ৯ হাজার ১০০। রুশ কর্তৃপক্ষ করোনায় মৃতের সংখ্যা জানিয়েছে সাত হাজারের সামান্য বেশি।
ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যু বেড়েছে ৫৫ শতাংশ, যা ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। আনুষ্ঠানিকভাবে ৫১৭ জন করোনায় মারা গেছেন দেশটিতে।
এদিকে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৯২৮ জন। মারা গেছেন চার লাখ ৫৩ হাজার ৫৮২ জন।