খবর৭১:ক্রাইমিয়ার উপদ্বীপে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর ৩টি জাহাজ লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর সেগুলো জব্দ করেছে রাশিয়া। রবিবার (২৫ নভেম্বর) কৃষ্ণ সাগরে এই ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ছয় নাবিক আহত হয়েছেন।
মস্কোর দাবি, জলসীমা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ করে দুটি টহল জাহাজ ও একটি টাগবোট। তাই বাধ্য হয়ে গুলি ছোঁড়ে রুশ সেনারা। কৃষ্ণ সাগর থেকে আজভ সাগরের জলসীমায় প্রবেশ মুখে মস্কোর একটি ট্যাংকার জাহাজ মোতায়েন রয়েছে।
যদিও ইউক্রেন বলছে, ওডেসা থেকে মারিওপোল বন্দরের দিকে যাচ্ছিলো জাহাজগুলো।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আচরণকে উসকানিমূলক ও পাগলামি আখ্যা দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরোশেংকো বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি পার্লামেন্টে সোমবার (২৬ নভেম্বর) সামরিক আইন জারির ঘোষণার জন্য আহ্বান জানাবেন।
সংকটের শুরু হয় যখন রাশিয়া অভিযোগ তোলে যে, ইউক্রেনের জাহাজ রুশ সীমানায় ঢুকে পড়েছে। রুশবাহিনী সাগরে যেখানে দুই দেশের অংশীদারিত্ব আছে। সেখানে কের্চ স্ট্রেইট সেতুর নিচে ট্যাংকার স্থাপন করেছিল।
ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া জাহাজের পথ আটকাতে চেষ্টা করে, যদিও এরপর নৌযানগুলো কের্চ স্ট্রেইটের উদ্দেশ্যে চলছিল কিন্তু ট্যাংকার দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
রাশিয়া ওই এলাকাতে দুটো যুদ্ধবিমান এবং দুটো হেলিকপ্টার ডেকে আনে। তাদের অভিযোগ নৌযানগুলা অবৈধভাবে তাদের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল এবং ওই পথে চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে নিরাপত্তার কারণে।
ইউক্রেনের নৌবাহিনীর সদস্যরা জানান জাহাজ হামলা মুখে পড়লে তারা ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তাদের ছয়জন নাবিক আহত হয়ে বলেও জানানো হয়।
রাশিয়ার কর্মকর্তারা অবশ্য পরে নিশ্চিত করে যে তাদের একটি টহল জাহাজ তিনটি ইউক্রেনের জাহাজকে জোর করে জব্দ করে তবে তাদের দাবি কেবল তিনজন নাবিক আহত হয়েছেন।
খবর৭১/জি