খবর৭১:ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার পর সন্ত্রাসবাদ ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক মার্কিন যাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনের মুক্তি দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা নাহলে তুরস্কের ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) ট্রাম্প টুইটারে এ হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘মহান খ্রিষ্টান, পারিবারিক মানুষ ও চমৎকার মানুষ যাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রানসনকে দীর্ঘদিন আটক রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ওপর অনেক বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। সে অনেক ভুগেছে। এই নিরাপরাধ বিশ্বাসী লোকটিকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া উচিত।’
এ ঘটনায় ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্কে আরও তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দু’দেশের কর্মকর্তারা পরস্পরের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছেন।
ট্রাম্পের টুইটের পর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ‘তুরস্ক কারো কথায় চলে না। আমরা কখনো কারো হুমকি সহ্য করি না। আইনের শাসন সবার জন্য সমান। এখানে কোনো ব্যতিক্রম নেই।’
এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং তার নিজের স্বার্থের ও তুরস্কের সঙ্গে মৈত্রি জোটের আরো ক্ষতি হওয়ার আগেই তাকে একটি গঠনমূলক অবস্থান নিতে হবে।’
তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষিত দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করার দায়ে তুরস্কের আদালতে ৫০ বছর বয়সি মার্কিন যাজকের বিচার চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ৩৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। ওই দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত।
খবর৭১/জি: