চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের চৌগাছায় শত্রুতা বশত কে বা কারা এক হত দরিদ্র কৃষকের ১০ কাটা জমির সমুদয় ধান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে চৌগাছার পাঁচনামনা গ্রামের মাঠে ধান ক্ষেতে শুকনা ধানের গাদায় এই আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কৃষক মফিজুর রহমান পাঁচনামনা গ্রামের মৃত জমশের আলীর ছেলে। রবিবার সকালে এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে যাওয়া ধান দেখতে মানুষ ভিড় করেন। ঘটনাস্থল পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাহিদুল ইসলাম পরিদর্শন করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে একই কৃষকের অপর ১০ কাটা ধান জমি থেকেই চুরি করে নিয়ে যায় দূবৃত্তরা।
সূত্র জানায়, শনিবার গভীর রাতে চৌগাছা পৌর এলাকার পাঁচনামনা গ্রামের মাঠে কৃষক মফিজুর রহমানের ১০ কাঠা জমির সমুদয় ধান আগুন দিয়ে কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে। ধান কাটার পর শুকনা ধান জমিতেই গাদা দিয়ে রাখেন ওই কৃষক। রবিবার সকালে ধান বাড়িতে নিয়ে আসার কথা ছিল। ওই দিন সকালে তিনি মাঠে যেয়ে এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান। এ সময় তার আর্ত চিৎকারে অন্য কৃষকরা ছুটে এলেও আগুন থেকেএকটি ধানও রক্ষা করতে পারেনি। ১০ কাঠা জমির সমুদয় ধান জমিতেই পুড় ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে চৌগাছা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় অসংখ্য মানুষ ধান ক্ষেতে উপস্থিত হয়ে এই নিষ্ঠুরতার ধিক্কার জানান। পুড়ে যাওয়া ধানের পাশ থেকে দু’একটি ভাল ধান পাওয়া আসায় কৃষক মফিজুর রহমানের বৃদ্ধা মা আম্বিয়া বেগম অবিরাম চেষ্টা করেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদিকে মঙ্গলবার রাতে একই মাঠ থেকে ওই কৃষকের আরও ১০ কাঠা জমির কেটে রাখা শুকনা ধান চুরি করে নিয়ে যায় কে বা কারা। কৃষক মফিজুর রহমান জানান, পৈত্রিক সূত্রে ১ বিঘা জমি পেয়েছেন তিনি। ওই জমিতে বছরে দুই বার ইরি ও আমন ধানের চাষ করেন। এই ধানে তার চার সদস্যের সংসার কোন রকমে চলে যায়। বছরের বাকি সময় তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু কেন এই নিষ্ঠুরতা তা সে নিজেও জানেনা। বছরের একটি ফসলের পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম হতাশা নেমে এসেছে ওই দরিদ্র পরিবারে। পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষক মফিজুর রহমান একজন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। তার কোন শত্রু আছে তা আমি বিশ্বাস করিনা। কেন কিসের জন্য এই জঘন্য কাজ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
খবর ৭১/ ই: