খবর৭১ঃ
ট্রাস্ট পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো কৃষ্ণা রায়ের পরিবার ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি আইনি নোটিশ গতকাল রোববার ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ডাক মাধ্যমে পাঠিয়েছেন কৃষ্ণা রায়ের স্বামী রাধে শ্যাম। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাধে শ্যামের আইনজীবী ইমরান হোসেন।
ইমরান হোসেন বলেন, ক্ষতিপূরণ দুইভাবে চাওয়া হয়েছে। তাঁর যে পারিবারিক দুর্ভোগ হয়েছে সে জন্য ১ কোটি টাকা। ব্যক্তিগতভাবে যে দুর্ভোগ হয়েছে সে জন্য আরও এক কোটি টাকা। মোট ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এই আইনি নোটিশের কপি পাঠানো হয়েছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের আইজিপি, বিআরটিএর চেয়ারম্যান এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর। তাঁদের বলা হয়েছে এই টাকা সংগ্রহ করে ভুক্তভোগীকে প্রদার করার জন্য।
গত ২৭ আগস্ট ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টের বেপরোয়া গতির একটি বাস বাংলামোটরে ফুটপাতে উঠে পড়ে। এতে কৃষ্ণা রায়ের হাঁটুর নিচ থেকে পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁর জীবন রক্ষায় পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলেন। পরে সংক্রামণ হওয়ায় তাঁর হাঁটুর ওপরের কিছু অংশও কেটে ফেলা হয়। কৃষ্ণা রায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) হিসাব বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক।
কৃষ্ণা রায়ের বাঁ পা পিষে দেওয়া বাসের মালিক ও চালকের সহকারীকে ১২ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল আলম বলেন, আসামিদের ধরতে থানা-পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কাজ করছে। এর আগে গ্রেপ্তার বাসটির অনিয়মিত চালক মো. মোরশেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি এখন কারাগারে আছেন।