খবর৭১ঃ রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের আবাসিক হোটেলগুলোতে নিরাপত্তার স্বার্থে হোটেলে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে এবং সিসিটিভি স্থাপন করে হোটেলের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও হোটেলের অতিথি এবং কর্মচারীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনারের (ডিসি) সঙ্গে হোটেল মালিকদের হোটেলের নিরাপত্তা শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গুলশানের ডিসি এস এম মোস্তাক আহমেদ খান তাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে বলেন।
এছাড়াও হোটেলের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে পরিচয়পত্র, ঠিকানা যাচাই করে, প্রয়োজনে পুলিশের মাধ্যমে ভেরিফাই করে নিয়োগ করার জন্য বলা হয়।
এদিকে উত্তরা বিভাগের উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুসল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে বায়তুল মোকারম মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে মতিঝিল বিভাগ। এ সময় প্রত্যেক মুসল্লিকে দেহ তল্লাশীর মাধ্যমে মসজিদে প্রবেশ করানো হয়।
এছাড়াও নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশের দৈনন্দিন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ ও অন্যান্য ক্রাইম বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় বিভিন্ন যানবাহন ও ব্যক্তির সাথে থাকা ব্যাগ, প্রয়োজন সাপেক্ষে দেহ তল্লাশী করা হয়।
উলেখ্য, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজধানীতে আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী জঙ্গিবিরোধী গণসংযোগ সপ্তাহ শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গণসংযোগ সপ্তাহ সফল করতে ডিএমপি’র ৫০টি থানায় সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার এলাকাবাসীকে নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে সভার আয়োজন করা হবে। পাড়া-মহল্লার পাশাপাশি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে উক্ত সভার আয়োজন করবেন। সভায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের পদক্ষেপ ও জনগণের করণীয় বিষয়ের ওপর আলোচনা চলবে।
এ বিষয়ে ডিএমপি’র মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং বাংলাদেশে ইতোপূর্বে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার পেছনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষঙ্গ রয়েছে যার ব্যাপ্তি ও পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এ রকম একটি সমস্যা শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নিরসন করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘সর্বসাধারণের ব্যাপক এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ডিএমপিতে ৩০২টি বিটকে সক্রিয় রেখে ও ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য এ গণসংযোগ চলবে আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী। উগ্রবাদ প্রতিরোধে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির সদস্যগণসহ কমিউনিটির প্রত্যেকের কার্যকর ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে।’
ডিএমপির এই গণসংযোগ সপ্তাহ চলবে আগামী ৪ মে পর্যন্ত।