পারস্পরিক স্বার্থে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে চাই:ইইউ

0
327

খবর৭১:মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেনইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে টারিঙ্ক বলেছেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে চাই।’
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম একথা জানান।
টারিঙ্ক বলেন, ‘ইইউ বাংলাদেশের বৃহত্তম রফতানি গন্তব্যস্থল। দু’পক্ষই এ থেকে লাভবান হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।’
শিক্ষা খাতে ইইউকে বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ সহযোগিতাও আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।’
জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। তাই দেশের উন্নয়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এই ২১ বছর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সামরিক একনায়করা দেশ শাসন করেছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের দ্রুত উন্নয়নে বেসরকারি খাতের সবকিছুই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
গত সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ১০ বছরে দেশের উন্নয়নের কারণে জনগণ বিশেষ করে নারী ও তরুণরা ব্যাপকভাবে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। জনগণ দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় বলেই আমরা পুনঃনির্বাচিত হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নির্বাচনি প্রচারণা থেকেই দৃশ্যমান হয়েছে যে, দলটি নির্বাচনে আগ্রহী ছিল না।

জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার সঙ্গে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এটা যৌথ উদ্যোগে করা যেতে পারে।’
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে খাতে যুক্তরাজ্যের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে পদ্মা সেতু থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে যুক্তরাজ্যের সহায়তা কামনা করেন।ব্রিটিশ হাইকমিশনার নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ব্রিটিশ হাই-কমিশনার বলেন, তার দেশ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।খবর বাসস।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here