সিরিয়ায় কিছু সংখ্যক মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ব্যাপারে শতভাগ একমত:ট্রাম্প

0
310

খবর৭১:প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় কিছু সংখ্যক মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ব্যাপারে এখন তিনি শতভাগ একমত। সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের কিছু সদস্যের লেখা এক চিঠির উত্তরে নিজের এমন পরিবর্তিত অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, আপনাদের মতো আমরাও চাই সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যা অর্জন তা যেন ভেস্তে না যায়।

মঙ্গলবার ট্রাম্পের ওই চিঠির অনুলিপি হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।

ট্রাম্পের নিজ দল ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি এবং বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একদল আইনপ্রণেতা গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পকে একটি চিঠি দেন। এর উত্তরেই সিরিয়ায় কিছু মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থানের কথা জানান ট্রাম্প।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে বিষয়টি নিয়ে সিনেটের মুখোমুখি হন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল জোসেপ ভোটেল। এ সময় তিনি বলেন, ট্রাম্প সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে এ সম্পর্কে তাকে কিছু জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর সিরিয়া থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। জেনারেল জোসেপ ভোটেল বলেন, এ সম্পর্কে ‘আমার কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এক সময় ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতো। তবে এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার পরিমাণ ৫২ বর্গকিলোমিটারেরও কম। এক থেকে দেড় হাজার জঙ্গি ইউফ্রেটাস নদীর দক্ষিণে ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকাটির দখল ধরে রেখেছে।

চরমপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকা উচিত বলেও মত দেন এই মার্কিন জেনারেল। তিনি বলেন, জঙ্গিরা শেষ হয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও পরিবর্তন হয়নি।

অন্যদিকে সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেট। এ বছরের গোড়ার দিকে সিনেটের এ সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দেন ২৬ জন। বিপরীতে সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে ভোট দেন ৭৬ জন। বেশিরভাগ সিনেটর মনে করছেন, দেশ দুটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলে আদতে তাতে লাভবান হবে ইরান ও রাশিয়া। নিজ দেশে এমন বিরোধিতার মধ্যেই সিরিয়া থেকে সামরিক উপস্থিতি পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দৃশ্যত কিছুটা পিছু হটলেন ট্রাম্প। সূত্র: এনবিসি নিউজ, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here