খবর৭১:নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। এসব গোষ্ঠীর সদস্য সন্দেহে আটক করা হয়েছে অন্তত ৪৪ জনকে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে গত মাসে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত জইশ-ই-মোহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের ভাই ও ছেলে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, তদন্তের জন্য মঙ্গলবার তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শহিরিয়ার আফ্রিদি
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শহিরিয়ার আফ্রিদি
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতের ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় বাহিনীটির অন্তত ৪০ জন সদস্য প্রাণ হারান। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। ওই হামলার পরই মাসুদ আজহার ও তার গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাবে সমর্থন দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত। দেশটিতে সক্রিয় জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক চাপও জোরালো রয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর কথা জানিয়ে মঙ্গলবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (এনএপি)বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৪ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে সব প্রাদেশিক সরকারের সব প্রতিনিধি অংশ নেন। এনএপি পর্যালোচনার সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে’।
কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আফ্রিদি বলেন, আটককৃতদের মধ্যে জইশ-ই-মোহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারের ভাই মুফতি আবদুর রউফ ও ছেলে হামাদ আজহার রয়েছে। তিনি জানান, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা ভারতের নথিতে এ দুজনের নাম রয়েছে। শাহরিয়ার বলেন, এর অর্থ এই নয় যে শুধুমাত্র ওই নথিকে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’।
সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষিত গোষ্ঠীগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিদের্শনা অনুযায়ী সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খবর৭১/জি