হবিগঞ্জে জেলার বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলায় ৫০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

0
288

মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা কুশিয়ার নদী ও বাহুবল উপজেলার করাঙ্গী নদীর পাড় ভেঙ্গে কমপক্ষে ৫০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এই দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, হাটবাজার বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। সোমবার (১৮ জুন) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক ইউনিয়েনর প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি। বানভাসি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন। ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মুনসুরপুর, দারকাফন, বাজারচুরা, উমরপুর, রাজনগর, মোস্তাপুর, ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ীসহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা, মাদবপুর, চরগাও, গালিমপুর, তাজপুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রাম পানিবন্দি রয়েছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিক বিন হাসান জানান- রোববার (১৭ জুন) দুপুরে বন্যায় কবলিত এলাকাগুলো পরির্দশন করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বাহুবল উপজেলার কমপক্ষে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত পরিবারের ঈদ আনন্দ পানিতে ভেসে গেছে। হাজার হাজার মানুষ গত পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছেন। প্লাবিত এলাকার পরিবারগুলোর বসতঘরে রান্নার চুলায় কয়েকদিন যাবৎ আগুন জ্বলেনি। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী এখনও পৌঁছায়নি সেখানে। এলাকায় মারাত্মকভাবে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।সূত্রে জানা যায়, ভারতের আসাম রাজ্য থেকে মৌলভীবাজার জেলার মনু নদী হয়ে বিলাশ নদীর মাধ্যমে দেওছড়া হয়ে আসা বন্যার পানি আর পাহাড়ী ঢলে বাহুবলের করাঙ্গী নদীর পানি গত এক সপ্তাহ যাবৎ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঈদের দু’তিন দিন আগে থেকেই করাঙ্গী নদীর পাড়বিহীন পূর্বপাশে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শফিয়াবাদ, পাকুলা, শাহনগর, বড়গাঁও, রশিদপুর, গাংপাড়, তকিয়া, সুন্দ্রাটিকি, সাতকাপন ইউনিয়নের সাতকাপন ও হামিনগর গ্রাম, বাহুবল সদর ইউনিয়নের কসবা করিমপুর, ধুমগাঁও, নোয়াগাঁও, পুরান মৌড়ী, ইসহাকপুর, উত্তরসুর, জয়নাবাদসহ আরও অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।অন্যদিকে নদীর পশ্চিম পাড়ে নিজগাঁও গ্রামের পাশে বাঁধ ভেঙ্গে হিমারগাঁও, চিচিরকোট, ফাইকপাড়া, চক্রামপুর, কাশিরামপুর, ওলিপুর, পুকুরপাড়, পশ্চিম ভাদেশ্বর, শাহাপুর, নিজগাঁও, দৌলতপুর, যশপাল, ইসলামপুর গ্রামগুলি প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্মতা আশীষ কর্মকার জানান, নদীর পানি কমতে শুরু করছে, আমরা গতকাল পানিউন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিব ইঞ্জিয়ারের প্রতিনিধিকে নিয়ে বাঁধ পরিদর্শন করে নদীর পশ্চিম পাড়েরর ১৩ টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ নির্ধারণ করেছি। জেলা বন্যা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে ভাঙ্গন ৫-৬ টি পয়েন্টেসহ ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টের জরুরী প্রয়োজনে কোন কিছু করা যায় কি-না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here