খবর৭১: মোবাইল সিম বিক্রিতে বিপত্তিতে পড়েছেন মেবাইল অপারেটর ও তাদের এজেন্টরা। বুধবার থেকে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনে কারিগরি সমস্যা হওয়ায় বৃহস্পতিবার এসে এই প্রক্রিয়াটি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপারেটররা বলছে, বুধবার বেলা ১২টা হতে এই সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তারা। এখন সিম বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল জানান, গ্রামীণফোন প্রতিদিন ৩৭ হতে ৩৮ হাজার সিম বিক্রি করে। বুধবার দুপুর হতে কারিগরি ত্রুটির জন্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভার বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ব্যবস্থাটি আংশিকভাবে চালু হয়েছে কিন্তু এখনও পরিচয়পত্র যাচাইয়ে অনেক ভুল ফলাফল আসছে।
তালাত কামাল জানান, কারিগরি এই সমস্যার কারণে সিম বিক্রি ৭ হতে ৮ হাজারে নেমে এসেছে। অপারেটরটির খুচরা বিক্রেতা এবং গ্রামীণফোন সেন্টারের এজেন্টগণ সিম চালু এবং পরিবর্তনের মতো সেবা দিতে মাঝেমাঝে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলালিংক প্রধান কর্পোরেট এবং রেগুলেটরি কর্মকর্তা তৈমুর রহমান জানিয়েছেন, একটি সিমের বায়োমেট্টিক ভেরিফিকেশনে আগে ৫-৬ সেকেন্ড লাগতো এখন সেটি ২০০ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগছে। কখনও কখনও ভেরিফিকেশন হচ্ছে না। এর ফলে আগে যেখানে প্রতিদিন ২৭ হতে ২৮ হাজার সিম বিক্রি করে। এই দু’দিনে সেটি ৬ হাজারে এসেছে।
সূত্র মতে, রবি ও টেলিটকের সিম বিক্রির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ভেরিফিকেশন বিভ্রাটের কারণে তাদের বিক্রিও তলানিতে চলে এসে।।
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব এবং প্রধান নির্বাহী টিআইএম নূরুল কবীর বলেন, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার হচ্ছে অপারেটরদের লাইফ লাইন। এতে সমস্যার কারণে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্তহচ্ছেন অপারেটর ও গ্রাহকরা।
খবর৭১/জি: