খবর৭১: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা পাঁচ কোটিরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা।
রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আইনজীবীরা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের তথ্য শেয়ার করায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করেন।
ব্রিটিশ সংসদের মিডিয়া কমিটির প্রধান ড্যামিয়ান কলিন্স বলেন, জাকারবার্গ অথবা ফেসবুকের অন্য কোনো কর্মীকে ‘অসত্য তথ্য ও জাল খবর’ অনুসন্ধান প্যানেলের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তথ্যফাঁসের ঝুঁকির ব্যাপারে ফেসবুক প্রায়ই কমিটিকে অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিমূলক উত্তর দেয়। এখন কেউ একজনকে এর দায়ভার নিতেই হবে। জাকারবার্গের নিজেকে ফেসবুক পেজের আড়ালে লুকিয়ে রাখার সময় শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা পাঁচ কোটিরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস ও লন্ডন অবজারভার।
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার সাবেক কর্মী, সহযোগী ও বিভিন্ন নথির বরাতে পত্রিকা দুটি গত শনিবার এ অভিযোগ তুলেছে। একে ফেসবুকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘তথ্য চুরির’ ঘটনা হিসেবেও দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাজ্যের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে এ কাজে সহায়তা করেন ক্রিস্টোফার উইলি নামে এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, ফেসবুক ব্যবহার করে আমরা কোটি কোটি মানুষের প্রোফাইল হাতিয়ে নিয়েছিলাম, যা জানি তার ওপর ভিত্তি করে মডেল নির্মাণ করেছিলাম এবং ব্যবহারকারীদের ভেতরের চাপা পড়া নেতিবাচক প্রবণতাকে লক্ষ্য বানিয়েছিলাম।
তবে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার এক মুখপাত্র জানান, কোগানের কোম্পানি গ্লোবাল সায়েন্স রিসার্চ (জিএসআর) তাদের সেসব তথ্য দিতে চুক্তিবদ্ধ ছিল, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি সাপেক্ষে নেয়া এবং যুক্তরাজ্যের তথ্য সংরক্ষণ আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
খবর৭১/এস: