কাজী শাহ্ আলম,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা অবিরাম শৈত্যপ্রবাহ ঘন কুয়াশায় ঢাকা এলাকা গত তিনদিন যাবত সূর্যের আলো দেখা যায়নি। কুয়াশায় ঢাকা অন্ধকারাচ্ছন অবস্থায় যানবাহন চলাচলসহ জন জীবনে সীমাহীন দূর্ভোগ বেড়ে গেছে। বাড়ছে শীতার্থদের আহাযারী। চাহিদার তুলনায় সরকারী শীতবস্ত্র বরাদ্দ অপ্রতুল্য। আগুনেই শীত নিবারনের একমাত্র উপায় বেছে নিয়েছে বস্ত্রহীন শীতার্থ মানুষেরা।
গত সোমবার উপজেলার সিংগীমারী,গড্ডিমারী,ধুবনী,বাড়াইপাড়া,সির্ন্দুণাসসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সড়জমিনে দেখা গেছে, অসহায় হতদরিদ্র,দিনমজুর, বস্ত্রহীন পরিবার গুলো শীত বস্ত্রের অভাবে খড়কুটো দিয়ে ঘরের ভিতরে আগুনের কুন্ড জালিয়ে শীত নিবারন করছে। শ্রম বিক্রি না করলে পেটে ভাত জোটে না এমন পেশার শ্রমিক পেশাজীবিরা হাড়কাপানো ঠান্ডার দাপটে মাঠে কাজে যেতে পারছে না। তাদের ঘরে বৃদ্ধ মা বাবা পরিবার সদস্যদের নিয়ে অনাহারে দিন কাটছে।
এসময় কথা হয়েছিল দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের দিন মজুর দেবারু শেখ (৭৫)এর সঙ্গে তিনি জানান গত চার পাঁচ দিনের ঠান্ডায় ঘরের বাইরোত যাবার পাং নাই বাহে। এমন ঠান্ডা বাড়ছে হাত পাং ভিতর ঠান্ডায় বরফ হয়ে যায়। কি করং মুই মোর দুঃখ দেখার কাও নাই। একদিন কামলা না দিলে হামার প্যাটোত ভাত জোটে না,গরম কাপড় কিনিম কেমন করি? চেয়ারম্যান, নেম্বার কিছুই দেয় না। চার পাঁচ দিন যাবত এখান কম্বলের জন্য চেয়ারম্যান, মেম্বরের দেখা করনুং তাও মোক দেয় নাই। আগুনে হামার ঠান্ডা থামায়। মানষির মাটিত থাকোং মোর কি আছে। মোর এবস্থা কাওয়ে চোখে দেখে না। এমনি ভাবে মধ্যসিংগীমারী গ্রামের ফেরোজা বেওয়া(৭০) আনোয়ারা বেওয়া (৪৫) জানান হামার দূঃখ কায় দ্যাখে বাহে ঠান্ডাতে মরি গেইনো। হামাক কাহোয় কিছুই দেয় না। এই জারোত সকাল থেকে সন্ধা পযন্ত মানষির বাসাত কাজ করি খাই,তবু হামরা এখান কম্বল না পাই, এমন চেয়ারম্যান,ন্যাম্বার হামার দুঃখ চোখে দেখে না।এদিকে হোটেল শ্রমিক শাহ আলম সকালের কনকনে ঠান্ডায় ঘরের বাহিরে বের হতে না পেরে ঘরের ভিতরে আগুনের কুন্ড জালিয়ে শীত নিবারন করছে এমনি শত শত অসহায় মানুষ শীতের দাপটে ঘরের বাহিরে যাইতে পারছে না। বৃদ্ধ মানুষসহ অশংখ্য পশু পাখী মার গেছে।
শীত নিবারন বিষয়ে উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে ফেরদৌস আহম্মেদ জানান এবারে ৭হাজার ৩শত পিছ সরকারী কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি যাহা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল্য। তিনি আরও বলেন গত বছরে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা ও ধনাঢ্য ব্যক্তিরা শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। দুখের বিষয় এবছরে প্রচন্ড শীত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ শীতার্থ মানুষের সাহায্যর্থে এগিয়ে আসেনি। তিনি বলেন চাহিদা মোতাবেক সরকারী বরাদ্দ চেয়ে উবর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা পত্র। দাখিল করা হয়েছে। খবর৭১/এস: