খবর ৭১: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে ফলো-আপ আলোচনাসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সিসিটিভি মঙ্গলবার জানিয়েছে।
শি সম্প্রতি এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রদর্শনের জন্য চলতি মাসের শুরুর দিকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি নজির বিহীন চুক্তিতে মধ্যস্ততা করতে করেছিলেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স মোহাম্মদ সুন্নি মুসলিম সৌদি আরব এবং শিয়া ইরানের মধ্যে ‘প্রতিবেশীর সঙ্গে সু সম্পর্ক বিকাশের প্রচেষ্টা’কে সমর্থন করে চীনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
দুই নেতা বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরব এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীনের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
শি বলেন, দুই দেশ তাদের নিজ নিজ মূল স্বার্থ জড়িত ইস্যুতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য আরও বেশি অবদান রাখবে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে তেল জায়ান্ট সৌদি আরামকো চীনে তার মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে দুটি চুক্তির সঙ্গে। ডিসেম্বরে শি সৌদি সফর করেছিলেন যেখানে তিনি উপসাগরীয় আরব নেতাদের সঙ্গে একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।
সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলি এই অঞ্চল থেকে প্রধান নিরাপত্তা গ্যারান্টার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা অনুভূত বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থের দিকে নজর রেখে অংশীদারদের বৈচিত্র্য আনতে অগ্রসর হয়েছে।
রিয়াদ ও তেহরান বেইজিংয়ে আলোচনা করে বহু বছরের বৈরিতার পর সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে দেশ দুটি সম্মত হওয়ার পর সৌদি আরব ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চলমান পবিত্র রমজান মাসে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেশ দুটির বৈরিতা সম্পর্ক উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছিল এবং মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতে ইন্ধন জোগাতে সাহায্য করেছিল।