মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নিখোঁজের ৭ দিন পর মঙ্গলবার মোবাইল টাকিং এর মাধ্যমে স্কুল শিক্ষিকা ওয়াফিয়া আক্তারকে উদ্ধার করেছে স্বজনরা। শিক্ষিকার স্বামী থানায় নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ শিক্ষিকার মোবাইল টাকিং করে। পরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন এলাকার একটি ছাত্রী মেস থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। শিক্ষিকা ওয়াফিয়া আক্তার স্বামীর সঙ্গে আছেন বলে ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম মঙ্গলবার রাতে নিশ্চিত করেন। তিনি উপজেলা তিয়শ্রী
ইউনিয়নের সাইতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
গত ৮ড়মার্চ প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানুর সাথে শিক্ষিকা ক্লাসের সময় নিয়ে তর্কবির্তক হয়। এর পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকজন কোথাও খোঁজে না পেয়ে শনিবার (১২ মার্চ) রাতে থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানু, সহকারী শিক্ষিকা নাহিদা আক্তার রেখা, হেভেন চৌধুরী ও মোঃ নজরুল ইসলাম একত্রিত হয়ে ওয়াফিয়াকে গালমন্দ করে। এরপর দিন থেকেই ওয়াফিয়া আক্তার নিখোঁজ রয়েছে বলে তার স্বামী এ এফ এম এমদাদ উল্লাহ সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।
শিক্ষিকার বড় ভাই মাওলানা সামিউল হক মোবাইল ফোনে জানান, আমার বোনকে
ঢাকার রাজারবাগ এলাকার একটি ছাত্রী মেস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে তার স্বামীর সঙ্গে আছে। দীর্ঘদিন যাবত সে হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। বর্তমানে ঢাকায় সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হাসেম জানান, শিক্ষিকা ওয়াফিয়া আত্মগোপনে ছিলেন বলে খবর পেয়েছি। এ নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারের সাথে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত টিম গঠন করে যে প্রকৃত দোষি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মদন থানার ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, তার স্বামীর ডায়েরির প্রেক্ষিতে
আমরা প্রথমে মোবাইল টাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা আছে বলে শনাক্ত করি। অবস্থান জানার পর শিক্ষিকা তার স্বামীর সাথে কথা বলেন। আজ স্বামী স্ত্রী উভয়েই আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ডায়েরির ব্যাপারে তারা কথা বলেছেন লিখিত দেবেন। উনারা আসলে পরবর্তি বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে।