শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধি : ভারতের তারকাটার বেড়া পেরিয়ে বেনাপোল সীমান্তের শুন্যরেখায় পালিত হলো আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। সোমবার(২১-ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০ টার সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে ৫২’র ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান নিবেদন করেন দু’দেশের বাংলা ভাষা প্রেমীরা।
এসময় অন্তরের অন্তস্থল থেকে মা’ মা’ বলে ডাকা, সমধুর বাংলায় কথা বলা দু’বাংলার বাংলা ভাষাপ্রেমীরা সৌহার্দ্যের বন্ধনে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ক্ষণিকের জন্য মুহুর্তটি দু’দেশের মিলন মেলায় রুপ নেয়। কি আবেগ! কি মমতা! দু’বাংলার বাঙালীরা যেনো একই বৃন্তের দুইটি কুসুম। যা হৃদয়ের ভাষায় ব্যক্ত করেন দু’বাংলার আগ¦ত অতিথিবৃন্দরা।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে মনের ভাব প্রদাণ করেন যশোর-১(শার্শা)’র এমপি আলহাজ¦ শেখ আফিল উদ্দিন। তিনি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে করেন ভারত সরকারের কাছে বেনাপোল সীমান্তের শুন্যরেখায় একটি ২১ উদযাপনী মাঠের আবেদন করেন। বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমরা দু’বাংলার বাংলা ভাষা প্রেমীরা শুন্যরেখায় আর্ন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকি এবং একে অন্যকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরি, ভ্রাতিত্বের বন্ধনে মিলিত হই, সময়টি মিলন মেলায় রুপান্তরিত হয়। মনে করি আমরা একই বৃন্তের দুইটি কুসুম। যেকারণে এখানে বড় একটি মাঠের খুবই প্রয়োজন। ভারত সরকারের মহানুভবতায় এখানে একটি মাঠ হলে অন্তত ১দিনের জন্য হলেও আমরা এখানে দু’দেশের বাংলা ভাষা-ভাষীরা মনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নিয়ে মনের ক্ষুধা নিবারন করতে পারব।
ভারতের পক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পশ্চিম বিধায়ক বিশ^জিৎ দাস মন্ডল বলেন, আমরা ভারতের অধিকাংশ বাংলা ভাষা-ভাষীদের, যাদের নাড়ি বাংলাদেশে পোতা রয়েছে। আমাদের পিতা, মাতা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, আত্মীয় পরিজন, সকলের নাড়ী বাংলাদেশে পোতা। তাইতো আমরা প্রতিবছরের ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলে বাংলা ভাষার টানে তারকাটার বেড়া পেরিয়ে ছুটে আসি শুন্যরেখায়। আবেগে আহ্লাদে প্রান জুড়ায়, যেনো পেয়ে যায় শীতল বাংলার আদর মাখা মায়ের কোল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের উত্তর ২৪ পরগণা বনগা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক সভাপতি আলোরানী সরকার, সাবেক এমপি মমতাবালা ঠাকুর, জেলা পরিষদ মেম্বর রমা বসু বিশ^াষ, বাগদার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপাল বিশ^াষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর দাস, ছয়ঘরিয়া প্রধান প্রসনজিৎ বিশ^াষ প্রমুখ।
বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, শার্শা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা, যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার সহকারি সম্পাদক ও ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদ, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া, ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহমেদ, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ¦ এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বজলুর রহমান প্রমুখ।