খবর৭১ঃ সম্ভব্য যুদ্ধে যেসব ইউক্রেনীয়দের ‘হত্যা করা হবে কিংবা ক্যাম্পে পাঠানো হবে’ তার তালিকা রাশিয়া ইতোমধ্যে করে ফেলেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘকে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি চিঠিও পাঠিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ওই চিঠির খবর এমন সময় সামনে এলো যখন ইউক্রেন সীমান্তের রুশ সেনা উপস্থিতি নিয়ে আসন্ন যুদ্ধের শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। ইউক্রেনে সম্ভাব্য ‘মানবাধিকার বিপর্যয়’ সম্পর্কেও বারবার সতর্ক করে আসছে ওয়াশিংটন।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন যুদ্ধে যেসব ইউক্রেনীয়দের হত্যা করা হবে বা ক্যাম্পে পাঠানো হবে রাশিয়ান বাহিনী তার তালিকা তৈরি করেছে এমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটকে সম্বোধন করা চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে যে রাশিয়ান বাহিনী সম্ভবত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে কিংবা বেসামরিক জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ মোকাবেলা করতে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে চলমান সংকট নিরসনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছেন বলে স্থানীয় সময় গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বাইডেন-পুতিনের সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বৈঠক শেষেই দুই দেশের শীর্ষ ব্যক্তিদ্বয় সাক্ষাৎ করবেন।
এলিসি প্রাসাদ সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার ফোনে বাইডেন-পুতিন দুজনের সঙ্গেই কথা বলে ওই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপের নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ আলোচনায় বসবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এই আলোচনায় সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় করবেন।
তবে এই আলোচনায় পক্ষ আসলে কারা সেটা বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি।
এর আগে রোববারই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছিলেন, চলমান সংকট নিরসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেকোনো সময়, যেকোনো শর্তে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
ব্লিঙ্কেন রোববার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনে একটি টকশোতে বলেছিলেন, যা দেখতে পাচ্ছি তাতে বিষয়টি ভীষণ গুরুতর বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমরা একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। তবে ট্রাংক এবং বিমান না সরা পর্যন্ত আমরা কূটনৈতিক উপায়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে প্রতিটি সুযোগ ও প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে চাই।