বইমেলার মেয়াদ বাড়াতে চান প্রধানমন্ত্রী

0
134

খবর৭১ঃ
জাতির পিতার জন্মদিন ১৭ মার্চ পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলার মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বিকালে অমর একুশের বইমেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।

অতীতে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এক মাসব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলা একটু দেরিতে শুরু করার বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আমরা এক মাসের জন্য করতাম কিন্তু আমরা এবার দেরিতে শুরু করেছি, আজকে ১৫ তারিখ। তাই এটা মনে হয় আমরা পুরো মাসই চালাতে পারি। যেহেতু আমাদের প্রকাশকদের পক্ষ থেকেও একটা দাবি এসেছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ পর্যন্ত এটা চলতে পারে।’

‘আমি মনে করি যে, এই বইমেলাটা আমরা এক মাস চালাতে পারি। তবে সেটা আপনারা নিজেরাও ভেবে দেখবেন। কারণ আমি একাতো আর কিছু বলতে পারব না। আর এই বইমেলা তো শুধু বইমেলা নয়; সবার মিলন মেলা।’

করোনার কারণে এবারের বইমেলায় আসতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী তার শিক্ষাজীবনে দিনভর বইমেলায় ঘুরে বেড়ানোর স্মৃতি স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলে থাকার সময়ও তিনি বইমেলাতে গিয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিরাপত্তার অজুহাতে পায়ে ‘শেকল পরা’তে তা আর সম্ভব হয়নি।

তিনি করোনাকালীন অনেক আপনজন এবং শ্রদ্ধাভাজনকে হারানোয় দুঃখ প্রকাশ করে এই পরিস্থিতির অচিরেই উত্তরণ হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তবে এখন যারা বইমেলায় আসবেন তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এটা একান্তভাবে দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ অনুষ্ঠানে বিশষ অতিথি হিসেবে ১৫ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার বিজয়ী প্রত্যেক ৩ লাখ টাকার চেক এবং ক্রেস্ট লাভ করেন।

বাংলা একাডেমির সভাপতি কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। আরও বক্তব্য দেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।

শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের পরই অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরই ভাষা শহিদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিটি নিরবতা পালন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here