ফের গতিতে ফিরছে রেমিটেন্স

0
154

খবর৭১ঃ টানা পাঁচ মাস কমার পর আবার গতিতে ফিরছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সপ্রবাহ। গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই কিছুটা বেড়েছিল প্রবাসী আয়। নতুন বছরের প্রথম মাসেও (জানুয়ারি) সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।

সদ্যসমাপ্ত জানুয়ারি মাসে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ (১.৭০ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স এসেছে। যা (বর্তমান বিনিময় হার প্রতি ডলার ৮৬ টাকা) বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

রেমিটেন্সপ্রবাহ বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর সরকার যে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছিল- সেটি এখন বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে। এজন্যই রেমিটেন্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ প্রনোদনা বৃদ্ধি রেমিটেন্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হওয়াও রেমিটেন্স বৃদ্ধির কারণ।

অবৈধ উপায়ে প্রবাসী আয় দেশে আসা ঠেকাতে ও বৈধ উপায়ে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। করোনা মহামারিকালে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আসলেও ২০২১-এ কিছুটা কমতে থাকে। এ জন্য সরকার ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নগদ প্রণোদনা আরও বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে। অর্থাৎ এতদিন কোনো প্রবাসী দেশে ১০০ টাকা পাঠালে, তার পরিবার বা স্বজন পেত ১০২ টাকা। এখন পাচ্ছে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্সের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বিভিন্ন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের এই মাসে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন ১৯৬ কোটি ১৯ লাখ ডলার।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে উদ্বেগজনক হারে সেটি বাড়তে থাকে। ওই সময় রেমিটেন্স কমার আশঙ্কা তৈরি হলেও প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে চাপ পড়তে দেননি। টানা দেড় বছর রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন তারা। পরে গত বছরের জুলাই থেকে রেমিটেন্স ক্রমাগত কমতে থাকে। তবুও গত বছরে (২০২১ সালে) ২ হাজার ২০৭ কোটি (২২.০৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স আসে দেশে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ। আর মহামারি শুরুর বছরে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স (এক বছরে) আসে ২১.৭৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগের বছর (২০১৯ সালে) এসেছিল ১৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here