মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর :
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে শতভাগ পাশের পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে সৈয়দপুরের আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ। একই সাথে সৈয়দপুরের ৪টি বালিকা বিদ্যালয়ের মধ্যেও সেরা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে বিদ্যালয়ের এমন সাফল্যের চিত্র উঠে এসেছে। পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারে ২৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৬টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করে। এর মধ্যে আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ শতভাগ পাশের পাশাপাশি বালিকা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যেও সেরা হয়েছে। এবার এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে মানবিকে ৪২ জন, বিজ্ঞানে ৩৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২৫ জন
পরীক্ষা দেয়। এতে শতভাগ সাফল্যর পাশাপাশি জিপিএ-
-৫ পেয়েছে ১৪ জন। এদের মধ্যে বিজ্ঞানে ১০ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪ জন জিপিএ-৫ পায়। ফলাফলে দেখা যায় ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ। পরের অবস্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, আল-ফারুক একাডেমি, সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় ও আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ। যা শহরের অনেক প্রাচীন এবং বনেদী প্রতিষ্ঠানও পায়নি। বালিকা বিদ্যালয়গুলোর ফলাফলে দেখা যায় আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের ১০০ জন পরীক্ষার্থীর শতভাগ অর্জনের পাশাপাশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন। ঐতিহ্যবাহী তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৯ জন পরীক্ষা দিলেও পাশ করেছে ১১৬ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ১২২ জন পরীক্ষা দিলেও পাশ করেছে ১১৯ জন এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি মাত্র ৩ জনের। আর বোতলাগাড়ী আদর্শ বালিকা নিকেতন থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৩৩ জনের সকলেই পাশ করলেও প্রতিষ্ঠানটির ঝুলিতে নেই জিপিএ-৫। সব মিলিয়ে নারী বিদ্যাপীঠে সেরা হয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শতভাগ পাশে পঞ্চম, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ষষ্ঠ এবং নারীদের প্রতিষ্ঠানে সেরা হওয়ার অভাবনীয় সাফল্য প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. শামীম হুসাইনসহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, করোনার মধ্যেও শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করতে ছিলেন আন্তরিক। তারা পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাসহ তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিটি বিষয়ের পড়া বুঝিয়েছেন। তিনি বলেন সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর ১০০ জন পরীক্ষার্থীকে বিশেষ নজরদারিতে আনা হয়। নভেম্বর পরীক্ষা হবে এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করতে শিক্ষকরা অভিভাবকদের বিশেষ পরামর্শ দেন। ফলে শিক্ষকদের পরিশ্রম আর অভিভাবকদের সচেতনতায় প্রতিষ্ঠানটির আকাশচুম্বি সাফল্য আসে। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ইউএনও মো. শামীম হুসাইনের সার্বিক সহযোগিতায় এ সাফল্য এসেছে জানিয়ে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন আগামীতে প্রতিষ্ঠানটি যাতে আরও ভাল করতে পারে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।