তালেবানরা জনগণের হলে আমাদের দরজা খোলা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
214

খবর৭১ঃ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে ২০ বছর পর ক্ষমতার মঞ্চে আসীন হতে যাওয়া তালেবানের সরকার গণতান্ত্রিক ও জনগণের হলে তাদের জন্য বাংলাদেশের দরজা খোলা আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বলেছেন, ‘আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাস করি।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে টিকার যৌথ উৎপাদন চুক্তির পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত মাসে আমেরিকা আফগানিস্তান ছাড়ার পর একে একে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকে ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া তালেবান। সবশেষ রবিবার রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করে তারা। তালেবানের কাবুলে প্রবেশের পর দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এর মধ্য দিয়ে তালেবানের হাতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সরকারের পতন নিশ্চিত হয়েছে। এখন আফগানিস্তানে সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তালেবান।

এ প্রসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি। জনগণ যাকে পছন্দ করে আমরা সেই সরকারে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাস করি। সেদেশের মানুষের ইচ্ছায় তৈরি করা সরকারে আমরা বিশ্বাস করি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সেই সরকারে দেশের উন্নয়ন সম্ভব, তাদের সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্ব। যে সরকারই আমাদের কাছে সাহায্য চাইবে আমরা করবো।’

তালেবান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে কি না- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তালেবান সরকার যদি হয় কিংবা হয়েছে এবং সেটা জনগণের সরকার হলে আমাদের দরজা অবশ্যই খোলা থাকবে।’

এদিকে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের নতুন সরকারব্যবস্থায় কোনো প্রেসিডেন্ট শপথ না নেওয়া পর্যন্ত দেশটিকে স্বাগত জানানো যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা বলব, এটা স্টিল প্রিমেচিউর। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রাষ্ট্রপতি শপথ না নিচ্ছেন; যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রাজা পারমানেন্ট অর্থাৎ তাদের সংবিধান অনুযায়ী চার বা পাঁচ বছরের সরকারের মেন্ডেট নিয়ে কেউ না আসা পর্যন্ত আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাতে পারি না। এটা ঠিকও হবে না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here