বাংলাদেশসহ চার দেশের সঙ্গে ফ্লাইট স্থগিতের মেয়াদ বাড়াল আমিরাত

0
433
আমিরাতে আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ জন

খবর ৭১: করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বাংলাদেশসহ চারটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট স্থগিতের মেয়াদ আবারও বাড়াল সংযুক্ত আরব আমিরাত। আগে ২৮ জুলাই পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত থাকলেও সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৭ আগস্ট পর্যন্ত।
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ১২ মে থেকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ ২৮ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশসহ এই চার দেশের সঙ্গে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় আমিরাত সরকার।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত উল্লেখিত দেশগুলোর সঙ্গে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে এমিরেটস এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশসহ অন্যান্য এয়ারলাইনস। করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় আবারও এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণায় প্রবাসীদের উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে।
এর আগে ২৮ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশসহ চারটি দেশের যাত্রীদের জন্য আমিরাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্বের যে কোনো দেশের নাগরিকরা ১৪ দিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া চারটি দেশে অবস্থান করলে তারাও কোনোভাবে আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে কূটনৈতিক ভিসা, গোল্ডেন ভিসা, সিলভার ভিসা ও শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমিরাত প্রবেশে শিথিলতা রাখা হয়েছে।
এদিকে সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যে অনেকে আমিরাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশের জন্য ইতোমধ্যে টিকাদান সম্পন্ন করেছেন। বারবার ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণার কারণে চরম উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তারা। সময়মতো উপস্থিত থাকতে না পারায় অসংখ্য প্রবাসীর ব্যবসা বাণিজ্য ও কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হাজার হাজার প্রবাসী মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ও সংক্রমণ বেড়েছে। এ সময় মারা গেছেন আরও ১০ হাজার ১৩৫ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৫৯ হাজার ১০৯ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু ৪২ লাখ ০২ হাজার ৮১০ এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ৬৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮১৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার ১৭৪ জন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here