রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ শৈলকুপায় দর্জির দোকানে আটকে রেখে স্কুল ছাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির অভিযোগের জেরে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে সেইসাথে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার সাতগাছি গ্রামের বিপ্লব খানের মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিয়া খাতুন ঢাকায় থাকা তার বড় বোনের নিকট বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর জন্য শৈলকুপা শহরে যায়।এরপর তার এক বন্ধুর কথামত শৈলকুপা চৌরাস্তা মোড়ে পাইলট হাই স্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সোহেল নামের এক দর্জির দোকানে বসে। দোকান মালিক দর্জি সোহেল তাকে বসতে দিয়ে কিছু সময়ের জন্য বাহিরে যায় এবং ফিরে এসে বলে তার ক্যাশবাক্স থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা চুরি হয়েছে। চুরির অপবাদ দিয়ে সাবিয়া খাতুন কে আটক করে এবং জিহাদ নামের এক ব্যাক্তিকে ডেকে এনে তাকে মারধরসহ শাররিক ভাবে লাাঞ্চিত করে। এব্যাপারে সাবিয়ার পিতা বিপ্লব খান জানান , মেয়েকে আসতে বিলম্ব হওয়ায় তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে অজ্ঞাতনামা এক ব্যাক্তি সাবিয়ার ফোন রিচিভ করে বলে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। পরে মেয়েকে আনতে গেলে সোহেল ও জিহাদ তার দোকনের ক্যাশবাক্স থেকে সাবিয়া টাকা চুরি করেছে বলে দাবি করে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাক বিতন্ডা হলে তারা আটক স্কুল ছাত্রী সাবিয়া খাতুন কে ছেড়ে দেয়। এদিকে সাবিয়া খাতুন এ প্রতিনিধি কে জানান, আমি দর্জি সোহেলের দোকানে গেলে আমাকে বসতে দিয়ে বলে আামি আসছি, কিছু সময় পর জিহাদ নামের এক ব্যাক্তির সাথে এসে বলে আমার ক্যাশবাক্স থেকে তুমি সাত হাজার ৫০০ টাকা চুরি করেছো। তখন আমি এই মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ করলে জিহাদ নামের এক ব্যাক্তি এসে আমাকে মারধরসহ শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে এবং আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তার কিছু সময় পর আমার পিতা এসে আমাকে উদ্ধার করে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এব্যাপারে সোহেল দর্জিকে বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যাইনি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গির আলম জানান, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি , লিখিত অভিযোগ আসলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিব। অপর দিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শৈলকুপা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।