মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর :
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স’র ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার ভবদীশ রায় ভানু (৪০) স্টোর রুমে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স’র শো-রুমে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যার চেস্টাকারি ভবদীশ রায় ভানু রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কেল্লাবাড়ির কমলাকান্ত রায়ের পুত্র।
জানা গেছে, সৈয়দপুরে বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্সের শো-রুমের ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভবদীশ রায় ভানু। আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র এ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার মো. রাজিব হোসেন সৈয়দপুর ব্র্যাঞ্চে অডিট করতে আসেন।
তিনি জানান, শো-রুমে এসে ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজারের পাশেই বসে কথাবার্তা বলছিলেন। কিছু সময় পর ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার ভবদীশ রায় ভানু শো-রুমের পাশে স্টোর রুমে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তিনি স্টোর রুম থেকে বের না হলে অডিট কর্মকর্তা রাজিব হোসেন তাঁর খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় তিনি শো- -রুমের ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার ভবদীশ রায়কে ডাকতে বলেন ব্র্যাঞ্চের অন্য কর্মচারীদের। কর্মচারীরা ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজারের খোঁজে ওয়াশরুমে গিয়ে তা ভেতর থেকে বন্ধ পান। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও স্টোর রুম থেকে ভবদীশ বের না হওয়ায় তাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রেজাউল আলম তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স শো-রুমে পৌঁছেন।
তাঁরা শোরুমের স্টোর রুমটি খুলতে ব্যর্থ হয়ে দরজা ভেঙ্গে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ভবদীশ রায় ভানুকে অচেতন অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসক ভবদীশের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের আত্মহত্যা চেষ্টার সঠিক কারণ জানা না গেলেও ব্র্যাঞ্চ পরিচালনা করতে গিয়ে দৈনন্দিন বেচাবিক্রির হিসাবে গড়মিল থাকায় হেড অফিস থেকে অডিট আসার কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, বেশকিছু দিনযাবৎ তাঁর পারিবারিক সমস্যা বিরাজ করছিল। এ কারণেও তিনি আত্মহত্যা চেষ্টা করতে পারেন। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগের রেজিস্টারে দেখা যায় ভবদীশ রায় ভানু নামে একজন বিষাক্ত দ্রব্য পানের রোগীর নাম উল্লেখ রয়েছে। পরে ওই রোগীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আবুল হাসনাত খান জানান, বেস্ট ইলেক্ট্রনিক্স কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।